সংবাদ (অনলাইন)

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

সাংসদকে ক্ষমা করে কর্মসূচি প্রত্যাহার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে জেলা পরিষদের নামফলক ভাঙার ঘটনায় জাতীয় পার্টির সাংসদের বিরুদ্ধে যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্দ। লাগাতার বিক্ষোভ, প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। ঠিক তখন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তিনি সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে বিবেচনায় রেখে সকল কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথাও জানান।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচির সমাপনী দিনে তিনি এ কথা জানান। সোনারগাঁ জিআর ইনস্টিটিউশনে নামফলক ভাঙার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার থেকে জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এক ঘন্টা করে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। সমাপনী দিনে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত হন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। পরে বক্তব্য দেওয়ার সময় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তুমি ভুল করেছো এবং সেই ভুলের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। আমি খোকাকে অভিশাপ দিচ্ছি না বা খারাপ কিছু বলছি না। তার কৃতকর্মের জন্য একদিন তার সংশোধনের সময় আসবে। অনেকেই আমার সাথে বেয়াদবি করে আবার বাসায় গিয়ে পা ধরে ক্ষমাও চায়। আমি বিশ্বাস করি, ক্ষমাই পরম ধর্ম। তাই আমি খোকাকে ক্ষমা করে দিলাম। আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নাই। কখনও অনুশোচনা হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ো।’ পাশাপাশি নামফলক ভাঙার ঘটনায় সকল প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা জানান আনোয়ার হোসেন। নামফলক ভাঙার প্রতিবাদে যারা আন্দোলন করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, মো. আলাউদ্দিন, মাহবুবুর রহমান রোমান, ফারুক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়ালীউল্লাহ, উপসহকারী প্রকৌশলী কাঞ্চন কুমার পালিত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কেএম রাশেদুজ্জামান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত সকলে কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ নভেম্বর সোনারগাঁ জিআর ইনস্টিটিউশনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ ওঠে, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের (সোনারগাঁ) সাংসদ ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নির্দেশে তার লোকজন এই নামফলক ভেঙেছে। এ ঘটনায় জেলা পরিষদ, মহানগর আওয়ামী লীগ, সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। গত ২১ নভেম্বর শহরে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার কুশপুত্তলিকাও পোড়ায় বিক্ষুব্দ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। ২৩ নভেম্বর জেলা পরিষদ এক জরুরি সভায়, ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ওই সাংসদের অনুকূলে বরাদ্দ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

নামফলক ভাঙার ঘটনায় সরাসরি সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা কিছু না বললেও তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি। ওই বিবৃতিতে, নামফলক ভাঙার ঘটনায় সাংসদের জড়িত থাকার ঘটনা অস্বীকার করা হয়।

মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভাইয়ের হাতে বোন খুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নরসিংদীতে শহীদ আসাদ দিবস পালিত

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
নবাবগঞ্জে পাঁচ ভাটাকে জরিমানা ৯ লাখ টাকা

প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
শিয়ালের ফাঁদে মেছোবাঘ

প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)