সংবাদ (অনলাইন)

সোমবার, ০১ মার্চ ২০২১

পিকে হালদার পলায়ন করেন বেনাপোল দিয়ে

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

পিকে হালদারের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার চিঠি ইমিগ্রেশন পুলিশ পাওয়ার দুই ঘণ্টা ৯ মিনিট আগেই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন শাখার বরাত দিয়ে ১ মার্চ সোমবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এ তথ্য জানান।

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার ওরপে পিকে হালদার ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। তবে অন্য এক গোয়েন্দা সূত্র বলছে ভিন্ন কথা।

দুর্নীতির মামলার আসামি হওয়ার পরও পিকে হালদারের কাছে কিভাবে পাসপোর্ট ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তকারী কর্মকতা আদালতের মাধ্যমে পিকে হালদার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে তা নিয়ে কোর্টের আদেশ দ্রুত কেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মেইলে বা হোয়াটাসঅ্যাপে না পাঠিয়ে ডাকযোগে পাঠিয়েছেন। ডিজিটাল যুগে কেন এভাবে আদেশ পাঠানো হলো। এছাড়া টেলিফোনে দ্রুত ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানালে কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হতো। তাও করা হয়নি। নানা কারণে পিকে হালদার দেশ ছেড়ে পালিয়ে জানা গেছে, পিকে হালদার ৬৭ থেকে ৬৮ বার ভারতে গেছেন। প্রতিবারই বিমানবন্দর দিয়ে গেছেন। যখন সে জানতে পারে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে তখন বিমানবন্দরে না গিয়ে বেনাপোল সীমান্ত ব্যবহার করেছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, পিকে হালদার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য এসবি পুলিশকে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর চিঠি দেয় দুদক। ইমিগ্রেশন পুলিশকে সতর্ক করতেই চিঠি দেয়া হয়। দুদকের এই চিঠি ডাকযোগে পাঠানো হয়। এর পরদিন ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় চিঠি পায় এসবির সদর দপ্তর। এরপর সদর দপ্তর থেকে এসবির সব ইমিগ্রেশন ইউনিটকে ওইদিনই বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে মেইলে এই চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু চিঠি পাওয়ার দুই ঘণ্টা ৯ মিনিট আগেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান পিকে হালদার।

গ্রেপ্তার ও তার পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়ার পরও কীভাবে পিকে হালদার দেশত্যাগ করলেন তা নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্ট। পিকে হালদার যেদিন দেশত্যাগ করেন সেদিন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে কারা দায়িত্বরত ছিলেন তাদের নামের তালিকা দাখিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশ দেন আদালত। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পিকে হালদারের পালানোর বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে মৌখিকভাবে তথ্য জানিয়েছে এসবির ইমিগ্রেশন ইউনিট।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থেই দুদক আগে থেকেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে পিকে হালদার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য দুদক এসবির মাধ্যমে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয়। কিন্তু পিকে হালদার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যদি কারও কোন গাফিলতি থাকে সেটা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ গত বছরের ২১ অক্টোবর এক আদেশে দেশের বিমানবন্দরে পা রাখা মাত্রই পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দেন। এরপর পিকে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়। এ নিয়ে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর সেটি আমলে নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) আদেশ দেন।

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ : কয়েকটি ভাঙা জানালা ও একটি পোড়া চেয়ারের মূল্য ৬০ লাখ টাকা

রাজশাহীর ছয় জেলায় নেই আইসিইউ

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী
লকডাউনের প্রথম দিনেই দোকান খোলার চেষ্টা, অতপর...

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
সিলেটে ফাঁকা সড়ক, কঠোর অবস্থানে পুলিশ

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
গ্রামমুখী মানুষের ঢল

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক