সংবাদ (অনলাইন)

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

সরকারের দক্ষতায় করোনায় ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে করোনাভাইরাসে দেশে ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে সিরিজ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রথম সভার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা এবং অর্থনীতির সামগ্রিক চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা’। অনুষ্ঠানে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রয়েছে। সরকারের প্রচেষ্টায় মানুষ সচেতন হচ্ছে, ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সফলভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সংবলিত প্রায় এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির জন্য এসব পদক্ষেপ খুবই প্রয়োজন ছিল। এ সময়ে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ এবং মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। প্রয়োজনে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। ফলে কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশে কোন পণ্যের সংকট হয়নি বা মূল্য বৃদ্ধি ঘটেনি। চীনে কোভিড-১৯ শনাক্তের পর মার্চের ৮ তারিখ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয়। দেশে ৬৬ দিন সরকারি ছুটি কার্যকর ছিল। প্রয়োজনে সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অর্থনীতির ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠতে নিতে হয়েছে অনেক পদক্ষেপ। সে কারণে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস মার্সি মিয়াং টেমবোন, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ।

উল্লেখ্য, করোনাকালে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট মোকাবিলায় সরকার ১ লাখ ১১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ২০টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। ক্ষতিগ্রস্ত বড় শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৩৩ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে কুটির, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি বা সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এই খাতে খুব কমই ঋণ ছাড় হয়েছে। এজন্য ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি সমস্যা হলো তথ্যের ঘাটতি। ব্যাংকের কাছে বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্যাবলি থাকলেও ছোটদের তথ্য নেই। এই নিয়ে দফায় দফায় প্রজ্ঞাপন ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপরও ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ পাওয়ার পরিমান খুবই কম।

মহামারীর মধ্যেও মানুষের আয় বেড়েছে : অর্থমন্ত্রী

আগে আইনের প্রয়োগ হতো না, এখন হবে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনও

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
শিল্পখাতে বিপ্লব আনতে পণ্যে বৈচিত্রতা আনতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
শেয়ার লেনদেন আইন ভঙ্গে ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক