সংবাদ (অনলাইন)

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

ঘটনার দিন বাসায় একাই ছিল দিহান

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর কলাবাগানের ঘটনার দিন ডলফিন রোডের ওই বাসায় নিহত শিক্ষার্থী সঙ্গে শুধুমাত্র অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহানই ছিলেন। অচেতন হয়ে পড়া মেয়েটাকে দিহান কোলে করে বাসা থেকে নিচে নামিয়ে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর আগে ওই বাসায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা ছিল তারা। এ সময় বাসার ভেতরে বা দিহানের সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) পুলিশকে এই কথা জানিয়েছেন চারদিন পলাতক থাকা বাসাটির গার্ড দুলাল হোসেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ হেফাজতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল হোসেন এসব কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটিকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দিহান ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে, এর সাক্ষী হিসেবে আমরা দুলাল মিয়াকে হেফাজতে নিয়েছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে ঘটনার দিন যা দেখেছেন তা আদালতের কাছে সাক্ষ্য দেবেন। সাক্ষ্য দেয়া শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। দুলাল আমাদের কাছে আরও বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন, সেগুলোও তিনি আদালতকে জানাবেন।

এদিকে দিহানের বাসার দারোয়ান দুলাল মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন। দুপুরে কলাবাগান থানার দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দারোয়ান দুলাল মিয়াকে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি গ্রহণ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ইফতেখার ফারদিন দিহান ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন দিহানের বাসার গার্ড দুলাল হোসেন। পরে সোমবার তিনি আবার ওই বাসাতেই ফিরে আসেন। তখন তাকে সেখান থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। ডিএমপি রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, আমরা তাকে আটক করিনি। সে ওইদিন বাসার দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার কাছে থেকে ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

দুলাল সম্পর্কে অভিযুক্ত দিহানের পান্থনিবাস বাসার সিনিয়র গার্ড মোকারম হোসেন বলেন, আমি ২০১৭ সাল থেকে এই বাসার নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করে আসছি। আমরা মূলত দুইজন মিলে কাজ করি। আমি সকালে ডিউটি করলে দুলাল রাতে করে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবারের আগে রাত অর্থাৎ বুধবার আমি নাইট ডিউটি করি। বৃহস্পতিবার সারাদিন ডিউটি করেছে দুলাল। সকাল থেকে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। এ সময়ের মাঝেই ঘটনাটি ঘটে গেছে। আড়াইটার দিকে তিন পুলিশ সদস্য এসে আমাকে ডেকে উঠায়। তখন থেকে আমি দুলালকে আর দেখতে পাইনি। পরে দেখা যায়, তার কাপড়চোপড়ও নেই। মঙ্গলবার আবার সকালের দিকে সে চলে এসেছে। জানতে চাইলে সে আমাকে বলেছে, আমি পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। আমি চারদিন সাভারে ছিলাম।

রাজধানীর এক পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

রাজধানীতে ২৬ জুয়াড়ি আটক

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির মেয়েকে খুঁজছে পুলিশ

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
মিরপুরে ডিএনসিসির উচ্ছেদে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক