সংবাদ » আন্তর্জাতিক

র‌্যাংকিংয়ে এশিয়ার সেরাদের তালিকায় দেশের ১১ বিশ্ববিদ্যালয়

যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কিউএস (কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস) প্রকাশিত এশিয়ার সেরা ৬৫০ বিশ্ববিদ্যালয়য়ের র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছে দেশের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়। এরমধ্যে তিনটি পাবলিক ও বাকি আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। কিউএস র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেলেও দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ই এশিয়া অঞ্চলের সেরা ১০০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আসতে পারেনি। গত বছরের মতো এবারও এশিয়ার সেরা হয়েছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর।

মাত্র এক ধাপ এগিয়ে ১৩৪তম স্থানে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। অবস্থান ১৯৯তম স্থান নিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), আর ২২৮তম হয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ)।

এশিয়ার সেরা উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানের তালিকার সেরা ৫০০-এরমধ্যে চীনের আছে ১২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতের আছে ১০৬টি, জাপানের ৯৮টি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ৮৫টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় আছে। গত বছর এই র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছিল। সে হিসেবে এবার চারটি বেড়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আটটি স্থান পেলেও তাদের অবস্থান এশিয়ার তালিকার অনেক নিচে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে করা র‌্যাংকিংয়ের বিষয়ে অন্যতম একটি হলো কিউএস ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং। কিউএস প্রতিবছর র‌্যাংকিং প্রকাশ করে। এই র‌্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গবেষণা, উদ্ভাবন, চাকরিতে স্নাতকদের কর্মক্ষমতা, সামাজিক প্রভাব, একাডেমিক খ্যাতি, অনুষদ সদস্যদের গবেষণা প্রকাশনা, পিএইচডি ডিগ্রি এবং কর্মীদের সংখ্যা দেখা হয়। পাঁচটি মানদন্ড যাচাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে গৃহীত তথ্যেরভিত্তিতে এই প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং করে। যেগুলো হচ্ছে- প্রাতিষ্ঠানিক খ্যাতি, শিক্ষক ও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মচারীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা, শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভাগীয় কৃতিত্ব তথা গবেষণা ও অন্যান্য এবং আন্তর্জাতিক পর্যালোচনা। সব মানদন্ড বিবেচনায় গত বছরও এশিয়ার সেরা প্রতিষ্ঠান হয়েছিল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর।

প্রথমবারের মতো র‌্যাংকিংয়ে স্থান পাওয়া দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ই বেসরকারি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এবার ঢাবি, বুয়েট ও নর্থ সাউথের পর দেশের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির র‌্যাংকিং ২৭১ থেকে ২৮০ এর মধ্যে। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) র‌্যাংকিংয়ে অবস্থান ৩৫১-৪০০ এরমধ্যে।

এরপরের অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ), যার অবস্থান ৪০১-৪৫০ এরমধ্যে। একই অবস্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিও। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অবস্থান ৪৫১-৫০০ এরমধ্যে, আহ্ছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ৫৫১-৬০০ এরমধ্যে এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ৫৫১-৬০০ এরমধ্যে রয়েছে।

এশিয়ার সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের পরই আছে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা দশের তালিকায় সিঙ্গাপুরের আছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটির নানইয়াং টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় (এনটিইউ) আছে সেরা তিনেই। সেরা দশে আছে যথাক্রমে ইউনিভার্সিটি অব হংকং (এইচকেইউ), হংকং। ঝিজিয়াং ইউনিভার্সিটি চীন, ফুদান ইউনিভার্সিটি চীন, পিকিং ইউনিভার্সিটি চীন, দ্য হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এইচকেকিউএসটি) হংকং, ইউনিভার্সিটি মালায়া মালয়েশিয়া এবং সাংহাই জিও টং ইউনিভার্সিটি চীন। এশিয়ার সেরা উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানের তালিকার সেরা ৫০০-এরমধ্য চীনের আছে ১২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়।