মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
মিতা চক্রবর্তী
নিত্যদিন নানাজন না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছেন। এই করোনা আবহে এটাই সবচেয়ে অসহনীয় ঘটনা। আজ সকালে আবারও সেই আঘাত! করোনা কেড়ে নিল আমাদের/আমার আত্মার আত্মীয় মুনীরুজ্জামান সাহেবের প্রাণ। কদিন আগেও তো কথা হয়েছিল। তার স্ত্রীর জন্য তিনি চিন্তায় থাকতেন। আমি আবার ভাইয়ার ছেলের কথা বলতাম, কারণ সেও তো একজন ডাক্তার। করোনার সঙ্গে যুদ্ধে তার ডাক্তার পুত্রও যে প্রথম সারির যোদ্ধা। কিন্তু যার কথা ভুলেও ভাবিনি- তিনিই চলে গেলেন!
সাংবাদিকতা বা কলম লেখার অভিজ্ঞতা আমার খুব কম দিনের নয়। কিন্তু খুব সত্যি কথা বলতেই হয়, মুনীরুজ্জামান সাহেবের মতো অমন সত্যনিষ্ঠ, স্পষ্ট বক্তা, মুক্তমনা, আপাদমস্তক নিপাট ভালো সম্পাদক আরও একজন (মানস ঘোষ) ছাড়া আর কাউকেই আমি পাইনি, দেখিনি। ত্রিপুরার ভোটের সময় তিনি খুব চিন্তিত ছিলেন। আমি দাদাকে বলেছিলাম, চিন্তা করবেন না, আমি নিয়ম করে ত্রিপুরার খবর দেব। আমাদের দেশে যখন কোন রাজনৈতিক অঘটন ঘটেছে, ভাইয়া উতলা না হয়ে থাকেননি। বলতেন, লিখুন, লেখা দিন।
আমাদের দুই দেশেই ধর্মীয় মৌলবাদের পরিপ্রেক্ষিতে মুনীরুজ্জামান সাহেব খুব কঠোরভাবে তার মনের ভাব ব্যক্ত করেছেন। বাম মনষ্ক উদারতাকে তিনি তার চিন্তা, ভাবনা, চেতনায় আমৃত্যু ধারণ ও লালন করে গেছেন। ঠিক এইখানেই ওনার সঙ্গে আমার মনের মিলন ঘটে। তবে সেখানেও তিনি কোন রকম সংকীর্ণতাকে প্রশ্রয় দেননি। রাষ্ট্রের অনৈতিকতার কথায় তার কলমে স্পর্ধার প্রকাশ বারে বারে পাঠকের আলোচনায় ওঠে এসেছে। একেক সময় তিনিই ফোন করে বলেছেন, এদেশে রাষ্ট্রের সন্ত্রাস নিয়ে কিছু লিখুন। ওনার এই মনোভাবের মধ্যে দিয়েই আমি বুঝতে পারতাম যে, এদেশ নিয়েও তার দুশ্চিন্তা কম ছিল না।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও তার পড়াশোনা ছিল নিত্যকার চালচিত্র। এই করোনা নিয়েও তিনিই আমাকে একাধিক বিদেশি আলোচনা বা প্রকাশিত কোন লেখার কথা প্রায়শই জানাতেন। ভ্যাক্সিন নিয়ে তিনি খুব আশাবাদী ছিলেন না। অবকাশ হলেই কোভিড-১৯ নিয়ে বিশিষ্ট ডাক্তার বা বিজ্ঞানীর কোন বক্তব্যের কথা বলতে তিনি বেশ আগ্রহী ছিলেন।
আজ সত্যিই খুব ভেঙে পড়েছি। তা এই কারণে যে, আজকাল তো প্রকৃতই ‘ভালো মানুষের’ খুব অভাব। এই মুহূর্তে আমার চেনা-জানা গুটিকয়েক ভালো মানুষের মধ্যে মুনীরুজ্জামান সাহেব ছিলেন অন্যতম একজন। একটা সার্বিক আকালের এই সময়ে তার মতো একজন অনন্য ব্যক্তির লোকান্তরিত হবার বিষয়টা নিতান্তই এক অপূরণীয় ক্ষতি। ক্ষতি পরিবারের, ক্ষতি সমাজের, ক্ষতি ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই আমারও। গতবছর গিয়েছিলাম বাংলাদেশে। আমার অপর এক বন্ধু মুনিরার সঙ্গে সংবাদের দফতরেও গিয়ে অনেক কথা বিনিময় হলো। লেখার ব্যাপারেও অনেকটা কথা হয়েছিল। কিন্তু আজ নিমেষেই সব কেমন অতীত হয়ে গেল! বর্তমানটা বড্ড বেশি যন্ত্রণার। মুনীরুজ্জামান সাহেব আর আমাদের মধ্যে নেই- একথা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। কিন্তু না মেনে উপায় কি? মৃত্যু এক অমোঘ সত্য। এক অদ্বিতীয় করুণ সত্য। একমাত্র এর কাছেই আমরা নতজানু। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকতেন। ছেলে পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকেন। আজ ভাবছি ওনার স্ত্রীর কথা। তার জীবনের এই শূন্যতা কে পূরণ করবে? শূন্যতা তো আমার মতো, ওনার বহু বহু গুণগ্রাহীরও। দিনে বা রাতে- যখনই ফোন করেছি, উনি যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন- ফোন ধরতেন। কথা বলতেন। আজও ফোন করেছিলাম। এই প্রথম ওনার ফোন বেজে গেল। ওপ্রান্ত থেকে আর খন্দকার মুনীরুজ্জামান সাহেবের কন্ঠস্বর ভেসে এলো না। আর আসবেও না। এক অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে কেটে যাবে আমার আগামীর দিনগুলো। তার কাছে আমি চিরঋণী। এই ঋণ অপরিশোধ্য। অন্তহীন কৃতজ্ঞতা ও অনস্বীকার্য। তবে এ কথাও সত্য যে, সব মরণ সমান নয়। মুনীরুজ্জামান সাহেবের এই চলে যাওয়ায় সব শেষ নয়। অনেক অনেক বেশি করে অনেকের মতো আমার মননেও তিনি চিরবিরাজমান হয়ে থাকবেন। মৃত্যুমাঝে তার যে অন্তহীন প্রাণ ঢাকা পড়েছে, সেই প্রাণের টানে বারে বারেই সাড়া দেব। এই সত্যকে কেউ খন্ডন করতে পারবে না। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
সাংবাদিক কলামিস্ট, কলকাতা।
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা তমা মির্জা ও তার স্বামীর মধ্যে চরম বিরোধ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের কথা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার সুকান্ত সেন (৪৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে শনিবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দেশের প্রথিতযশা সংবাদিক, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে শাহজাদপুরে বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
সাটুরিয়া দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বরেণ্য সাংবাদিক খন্দকার মুনীরুজ্জানের মৃত্যুতে সংবাদ পরিবার ও
দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃতুতে শোক প্রকাশ করেছেন বরগুনা-১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আ. রহমান নান্টু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল বারি আসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জিব দাস,
দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ।
কিশোরগঞ্জ দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মুত্যুতে কশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বাদ জুমা মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানুষ মরণশীল তা অবশ্যই মানতে হবে। আমাদের সবাইকে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
খন্দকার মুনীরুজ্জামান ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত এবং অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার সাংবাদিক।
ভোলা দেশের প্রাচীনতম জাতীয় দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক,কলামিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মুনীরুজ্জামান’র মৃত্যুতে
শিরোনাম থেকে আজ ২৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে বিয়োগ একজন। বিয়োজিত বন্ধুটিকে ধরণীর কোন প্রান্তে কোথায় অন্তিম শয়ানে রাখা হবে, সেটা নিয়ে তৎপরতা।
খন্দকার মুনীরুজ্জামান ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী আপসহীন সাংবাদিক।
দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রবীণ সাংবাদিক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য,এইউ এম ফখরুদ্দিন আর নেই।
এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার আশিকুর রহমান অপুর বাবা মো. আব্দুর রবের মৃত্যুতে
দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রবীণ সাংবাদিক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য,এইউ এম ফখরুদ্দিন আর নেই।
এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার আশিকুর রহমান অপুর বাবা মো. আব্দুর রবের মৃত্যুতে