বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
আজ দৈনিক সংবাদ-এর প্রধান সম্পাদক ও দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবিরের (মনু মিয়া) ৯৯তম জন্মদিন। ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঘোড়াশালের ঐতিহ্যবাহী মিয়া বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। মায়ের নাম মরহুমা সুফিয়া খাতুন। ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এবার করোনা মহামারীর কারণে আহমদুল কবিরের জন্মদিন উপলক্ষে বড় কোন আয়োজন করা হচ্ছে না। তার গ্রামের বাড়ি ঘোড়াশালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কবর জিয়ারত এবং পারিবারিক মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আহমদুল কবির ছিলেন ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা অঙ্গনের এক প্রতিভাদীপ্ত ব্যক্তিত্ব। আপসহীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জন্য পাকিস্তান আমল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি ছিলেন একজন ভিন্নমাত্রার রাজনীতিক। মূলত তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল এদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করা। তদানীন্তন পাকিস্তানের রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল যে ধারা এদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিপুল জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক চেতনাকে নাড়া দিয়েছিল, সেই একই ধারার পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন আহমদুল কবির। পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী রাজনীতির নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন আহমদুল কবির। দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন আদর্শবান এবং নীতিনিষ্ঠ এক নেতা হিসেবে। তিনি সত্তরের দশকে গণতন্ত্রী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি পার্টির সভাপতি ছিলেন।
আহমদুল কবির ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর প্রথম ভিপি। ১৯৬৫ সালে আহমদুল কবির ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। সংবাদপত্রকে তিনি তার রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার ও স্বকীয় প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেন। সাংবাদিকতায় তার অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল এবং বস্তুনিষ্ঠ চেতনার প্রতিরূপ হলো দৈনিক ‘সংবাদ’। দৈনিক সংবাদ-এ বস্তুনিষ্ঠ খবর ও মতামত প্রকাশের মধ্য দিয়ে তিনি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেন। আমৃত্যু তিনি তার এই আদর্শ লালন করে গেছেন। কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়নের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতির পদও অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। আহমদুল কবির দেশের একজন বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তাও ছিলেন। এদেশের শিল্প-বাণিজ্য প্রসারে তার সক্রিয় অবদান রয়েছে।
শিক্ষা ও অন্য কর্মকাণ্ড : অর্থনীতিতে সম্মানসহ বিএ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৪২-৪৩ সালে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৫ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে নরসিংদী-২ (পলাশ-শিবপুর) নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
আহমদুল কবির অর্থনীতিতে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করার পর রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায় যোগদান করেন এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে তিনি পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন এবং ১৯৫১ সালে গ্যাটে সম্মেলনে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি নিজের ব্যবসায় যোগদান করেন। আহমদুল কবির তদানীন্তন পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি কৃষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। আশির দশকে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্রী পার্টি গঠিত হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করেন। রোমে ফাও-এর কনফারেন্সে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। ইইসি দেশগুলোতে তিনি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সরকার ‘সংবাদ’ অফিস পুড়িয়ে দেয় এবং আহমদুল কবিরকে গ্রেপ্তার করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সংবাদ প্রকাশের জন্য অনেক প্রলোভন দেখায়, কিন্তু আহমদুল কবির পত্রিকা প্রকাশ করেননি। স্বাধীনতার পরপরই তিনি জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন এবং সংবাদ পুনঃপ্রকাশ করেন।
আহমদুল কবির ১৯৫৪ সালে সংবাদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে প্রধান সম্পাদক হন এবং আমৃত্যু এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আহমদুল কবির স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক অনুসারী রেখে গেছেন। প্রয়াত আহমদুল কবিরের স্ত্রী লায়লা রহমান কবির দেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তার বড় ছেলে আলতামাশ কবির ‘সংবাদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সম্পাদক, দ্বিতীয় ছেলে আরদাশির কবির দেশের বিশিষ্ট চা ব্যবসায়ী এবং একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার নিহাদ কবির সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত এবং এমসিসিআই’র সভাপতি।
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
প্রতিনিধি, সিলেট
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা তমা মির্জা ও তার স্বামীর মধ্যে চরম বিরোধ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের কথা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার সুকান্ত সেন (৪৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে শনিবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দেশের প্রথিতযশা সংবাদিক, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে শাহজাদপুরে বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
সাটুরিয়া দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বরেণ্য সাংবাদিক খন্দকার মুনীরুজ্জানের মৃত্যুতে সংবাদ পরিবার ও
দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃতুতে শোক প্রকাশ করেছেন বরগুনা-১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আ. রহমান নান্টু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল বারি আসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জিব দাস,
দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ।
কিশোরগঞ্জ দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মুত্যুতে কশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বাদ জুমা মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানুষ মরণশীল তা অবশ্যই মানতে হবে। আমাদের সবাইকে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
খন্দকার মুনীরুজ্জামান ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত এবং অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার সাংবাদিক।
ভোলা দেশের প্রাচীনতম জাতীয় দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক,কলামিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মুনীরুজ্জামান’র মৃত্যুতে
শিরোনাম থেকে আজ ২৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে বিয়োগ একজন। বিয়োজিত বন্ধুটিকে ধরণীর কোন প্রান্তে কোথায় অন্তিম শয়ানে রাখা হবে, সেটা নিয়ে তৎপরতা।
নিত্যদিন নানাজন না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছেন। এই করোনা আবহে এটাই সবচেয়ে অসহনীয় ঘটনা।
খন্দকার মুনীরুজ্জামান ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী আপসহীন সাংবাদিক।
দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মুত্যুতে কশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের মৃত্যুতে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বাদ জুমা মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানুষ মরণশীল তা অবশ্যই মানতে হবে। আমাদের সবাইকে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
খন্দকার মুনীরুজ্জামান ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত এবং অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার সাংবাদিক।
ভোলা দেশের প্রাচীনতম জাতীয় দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক,কলামিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মুনীরুজ্জামান’র মৃত্যুতে
শিরোনাম থেকে আজ ২৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে বিয়োগ একজন। বিয়োজিত বন্ধুটিকে ধরণীর কোন প্রান্তে কোথায় অন্তিম শয়ানে রাখা হবে, সেটা নিয়ে তৎপরতা।
নিত্যদিন নানাজন না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছেন। এই করোনা আবহে এটাই সবচেয়ে অসহনীয় ঘটনা।
খন্দকার মুনীরুজ্জামান ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী আপসহীন সাংবাদিক।
করোনায় মারা যাওয়া সাংবাদিকদের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন( বিএফইউযে)
সাংবাদিকদের করোনাভাইরাস সংক্রমন পরীক্ষার নমুনা (স্যাম্পল) সংগ্রহের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
করোনা দুর্যোগের মধ্যেই আলোকিত বাংলাদেশ ও গাজী টিভির (জিটিভি) সাংবাদিকসহ গণমাধ্যমকর্মীদের চাকুরিচ্যুতের নোটিশ প্রদানের ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।