অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, গত জুন পর্যন্ত দেশে ঋেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এসব ঋণের মধ্যে ব্যাংকের খেলাপি ১ লাখ ৬ হাজার ৫৫ কোটি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা। ১৩ নভেম্বর বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের ৪র্থ কার্যদিবসে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এরআগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
ব্যাংকের ঝুঁকি মোকাবেলায় ১২ পদক্ষেপ: সংসদ সদস্য মহিবুল রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকসমূহে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইন, সংশোধনের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, কর্তব্য এবং কর্মপরিধি সম্পর্কে দিকনিদের্শনা দেয়া হয়েছে। ব্যাংকের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১২ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন স্বাভাবিক ঘটনা: সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান বিও অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে সব বিনিয়োগকারী একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন করেন না। কিছুসংখ্যক বিনিয়োগকারী প্রায়শই লেনদেন করেন, কিছুসংখ্যক বিনিয়োগকারী স্বল্প ও দীর্ঘ বিরতির পর লেনদেন করেন। তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজের মূল্যের উখান-পতন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিক নিয়মেই লাভ-লোকসান করতে পারেন।
অর্থপাচারের ৪০ মামলা বিচারাধীন: সংসদ সদস্য পীর ফজলুল রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার রোধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে অর্থপাচার বিষয়ক প্রায় ৪০টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে।
টিআইনধারী’র সংখ্যা ৪৫ লাখ: এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে টিআইএনধারী করদাতার সংখ্যা ৪৫ লাখ ১৬ হাজার ৬৩২। ঢাকাসহ ২৭ কর অঞ্চলের মাধ্যমে করদাতারা কর প্রদান করছেন। সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের গত ৯ মাসে বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৩ হাজার ৪৩৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সরকারি কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণ চলমান: সংসদ সদস্য মো. মহিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান কার্যক্রম চলমান। নীতিমালা অনুযায়ী তারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনে অনলাইনে সরাসরি আবেদন করে থাকেন। এ নীতিমালার আওতায় একক আবেদনকারী কেবল জমি ক্রয়ের জন্য কোন ঋণ সুবিধা পাবেন না। তবে গ্রুপভিত্তিক জমি ক্রয়সহ বাড়ি নির্মাণের জন্য ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক