সংবাদ (অনলাইন)

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য আবাসিক এলাকার পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়

বেসরকারি ইবনে সিনা হাসপাতালের এসির শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন আবাসিক ভবনের বাসিন্দারা। দিনরাত এসিগুলো চালু থাকে। সেগুলো থেকে বিকট শব্দ হয়। বাড়ির বাসিন্দারা রাতে ঘুমাতে পারেন না। এছাড়া হাসপাতাল থেকে ফেলা বর্জ্যরে দুর্গন্ধে ধানমন্ডি এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। সম্প্রতি আইনি নোটিসও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আবাসিক এলাকায় অন্য কোন বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলবে না সেটাই স্বাভাবিক। আবাসিক এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু সড়কে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যেসব সড়কে অনুমোদন আছে তাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যেখানে অনুমোদন নেই সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানো সমর্থনযোগ্য নয়।

দেশের বেশিরভাগ আবাসিক এলাকাতেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। এবং সেই নিয়মে ইবনে সিনা হাসপাতালও একটি আবাসিক এলাকায় তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। বাস্তবতা হলো, এসব আবাসিক এলাকা থেকে স্কুল কিংবা হাসপাতাল রাতারাতি সরিয়ে ফেলা যাবে না। এর একটা চাহিদা আছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যাও হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি থাকতে হবে। এবং সেটা মেনে চলতে হবে। হাসপাতালের কারণে আবাসিক এলাকার পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

অভিযোগ রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে আবাসিক প্লটে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়ে থাকে সিটি করপোরেশনের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা, বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং কমপ্লেক্স গড়ে ওঠায় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব অনিয়ম দূর করতে হবে। যাদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

২০১৬ সালে রাজধানীর আবাসিক এলাকার সব অবৈধ ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কেন সেটি সফল হল না সেটা একটা প্রশ্ন। এজন্য দৃঢ় সংকল্পের পাশাপাশি কার্যকর তৎপরতা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।