রোববার, ১০ জানুয়ারী ২০২১
ড. মো. শফিকুর রহমান
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের অনেকেই করোনা টিকার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে টিকা নেয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছেন। সাধারণত যে কোন টিকা মানবদেহে প্রয়োগের জন্য নিরাপদ কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চত হতে ৮-১০ বছর বা আরও বেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু ফাইজার, মডার্না ও অক্সফোর্ডসহ অন্যান্য টিকাগুলো দীর্ঘসময় নিয়ে পরীক্ষা না করে মাত্র ১০-১১ মাসের ট্রায়াল শেষে মানবদেহে প্রয়োগের জন্য কতটুকু নিরাপদ, তা নিয়ে অনেকের মনে কিছুটা ভয়ভীতি সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। তাছাড়া কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকাগুলো কতদিন কাজ করবে তাও আমরা জানি না এবং এসব জানতে বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে।
সম্প্রতি ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকা নেয়ার পর কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। টিকা গ্রহণের দুই দিন পরই পর্তুগালের এক স্বাস্থ্যকর্মী, পাঁচদিন পর সুইজারল্যান্ডের ৯১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা এবং কয়েক দিন পর নরওয়ের দুই স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় কিছু মানুষের মধ্যে করোনার টিকা নিয়ে কিছুটা ভয় সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে মডার্নার করোনা টিকা নেয়ার পর এক চিকিৎসকের দেহে তীব্র অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া, মাথা ঘোরা ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী- ফাইজারের টিকা নেয়ার পরও এ পর্যন্ত ২৪০ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। সম্প্রতি ভারত কোভাক্সিন নামে শিম্পাঞ্জি অ্যাডেনোভাইরাসকে ভেক্টর হিসেবে ব্যবহার করে করোনার একটি টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করার পূর্বেই ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ফাইজার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথাও অনেকেই জানিয়েছিলেন এবং যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তাদের ফাইজার করোনা টিকা না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। করোনা টিকার এসব নেতিবাচক সংবাদ ও টিকা গ্রহণের পর এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা সাধারণ জনগণ ছাড়াও বিজ্ঞানীসহ ডাক্তারদের ভাবিয়ে তুলেছে এবং করোনা টিকার প্রতি কিছু মানুষের অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত অনাস্থার এ মনোভাব সৃষ্টির পেছনে যেসব কারণ কাজ করছে তার মধ্যে রয়েছে করোনা টিকাগুলোর ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভয় এবং কী পরিমাণ সময় এসব টিকা মানুষকে সুরক্ষা দেবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা।
করোনার টিকাগুলোর আদৌ কি ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া রয়েছে? টিকা নেয়ার পর প্রথম তিন দিন পর্যন্ত নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া বা সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়া স্বাভাবিক- টিকা প্রয়োগের স্থানের চারদিকে লালভাব, ফোলাভাব বা ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও শরীরে ক্লান্তিভাব, জ্বর, মাথা ব্যথার পাশাপাশি পেশি বা জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। এসব প্রতিক্রিয়া টিকা যে কাজ করছে তা ইঙ্গিত করে, এতে ভয়ের কিছু নেই। করোনার টিকা ছাড়াও যে কোন টিকা, এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানের অ্যালার্জিকসহ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারো কারো শরীরে দেখা দেয়।
ফাইজার ও মডার্নার টিকাতে করোনার স্পাইক প্রোটিন অ্যান্টিজেন তৈরির জন্য কেবল রাসায়নিক উপায়ে তৈরি জিনগত কোড ব্যবহার করে সৃষ্ট এমআরএনএ মানবদেহের কোষে প্রবেশ করানো হয় এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পর্যাপ্ত পরিমাণ স্পাইক প্রোটিন তৈরির পরপরই লিপিড ন্যানো পার্টিকেলগুলো যা এমআরএনএর বাহক হিসেবে কাজ করে তা ভেঙে যায়, অর্থাৎ এমআরএনএ নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই এমআরএনএ টিকা দ্বারা ক্ষতিকর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
অপরদিকে অক্সফোর্ডের ডিএনএ টিকাটির করোনার স্পাইক প্রোটিন তৈরির জন্য জিনগতভাবে পরিবর্তিত দুর্বল প্রকৃতির শিম্পাঞ্জি অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহার করা হয় এবং এ ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে সংক্ষমণ সৃষ্টি বা সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে না বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত অন্যান্য নিরাপদ টিকা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। টিকাগুলোর প্রথম ডোজ নেয়ার পর আমাদের শরীরে করোনার স্পাইক প্রোটিন অ্যান্টিজেন তৈরির মাধ্যমে করোনা আক্রমণের বিরুদ্ধে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে আট থেকে দশ দিনের মতো লেগে যেতে পারে।
এছাড়াও এসব টিকা সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা দেয়, তাই টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেয়ার পরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫ শতাংশ থেকেই যায়। এজন্যই করোনা টিকা নেয়ার পরও সামান্য সংখ্যক মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাছাড়া যেকোন টিকা শুধুমাত্র এর টার্গেট রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত নয়- এমন সুস্থদেহেই প্রয়োগ করতে হয়, ইতোমধ্যে আক্রান্ত দেহে এসব টিকা কাজ করে না। আর করোনা টিকা নেয়ার পর যেসব তীব্র পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তা হয়ত অন্য কারণে ঘটে থাকতে পারে। তারপরও খতিয়ে দেখতে হবে, টিকার কারণেই কি মৃত্যু হয়েছে, নাকি পুরো ব্যাপারটাই কাকতালীয়? তবে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডাতে যথাক্রমে ৫৩ লাখ, ১৪ লাখ এবং ১ লাখ ৫০ হাজার লোক টিকার প্রথম বা দুটি ডোজ নিয়েছেন। যেহেতু তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোন ঘটনার কথা জানা যায়নি, তাই সম্ভবত এসব লোকের মৃত্যু কাকতালীয়ই। কাজেই, করোনা টিকার প্রতি অনাস্থার মনোভাব পরিহার করে এটাকে জীবন রক্ষাকারী উপাদান হিসেবে গ্রহণপূর্বক কোভিড-১৯-এর ভয়াবহতা থেকে পৃথিবীর মানুষের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
[লেখক : অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]
mrahman7@lakeheadu.ca
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও গত ৯ মাস ধরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
পুরো নাম ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’, একটি সংগঠনের জন্য নামটি যথেষ্ট
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে বাংলাদেশ চলতি অর্থবছর ২০২০-২১ সালের প্রথম মাস তথা জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১
দেশে লাখ লাখ রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা, আদালতে দীর্ঘসূত্রতা সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিচারিক কর্তৃপক্ষের অভাবে এসব মামলায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
শীতকাল দরিদ্র-গরিব মানুষের জন্য যেন এক অভিশাপের নাম!
ক’দিন আগে রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ও-লেভেলের এক ছাত্রী তার এক বন্ধুর বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রসভ্যতা বিকশিত হতে থাকে। যা ক্রমবিকাশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এসে উপস্থিত হয়েছে।
কারও পক্ষে বিশ্বাস করাও কঠিন হবে যে দুই দশক আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশে শিক্ষার ডিজিটাল যাত্রার সূচনা হয়েছে, আর তার দুই দশক পর বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তে পা রেখেছে।
সে অনুসারে আগামী চার বছরে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
১৬ মার্চ ২০১৯ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বিকল্প উপায় হিসেবে অনলাইন ক্লাসকে বেছে নেয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুকে সবাই বলছেন বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বড় বড় নেতাদের মুখরোচক বক্তব্য খুব আমোদজনক।
রাজধানী ঢাকাসহ প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে এবং শিল্প ও বাণিজ্যের দ্রুত বিকাশের অনুষঙ্গ হিসেবে গড়ে ওঠা শহরে বসবাসরত
আওয়ামী লীগের মাননীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন
১. পার্বত্য চট্টগ্রামের ম্রো জনগোষ্ঠীর কোন একজনকে প্রশ্ন করলে- কেমন আছে আদিবাসী ম্রোরা!
ইংরেজি নববর্ষ ২০২১-এর প্রথম দিনে বদলে গেল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত।
১৯৭১ সালে দিনাজপুর জেলা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ভারতীয় সৈনিকদের একটি ক্যাম্প করা হয়েছিল দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।
হাত ধোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস; যার মাধ্যমে সহজেই অসুস্থতা থেকে বাঁচা যায়।
‘সব কিছুই আমরা ভুলে যাই’ এমন অপবাদ জাতিগতভাবে আমরা পেয়ে থাকি। দূরের ইতিহাস তো বটেই, খুব কাছের ইতিহাসই আমরা মনে রাখি না।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের দিনে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ব্রিটেনে রূপান্তরিত নতুন ধরন এবং অধিক সংক্রামক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
বাঙালি মুসলমানের স্বরূপ উন্মোচন করতে গিয়ে প্রখ্যাত লেখক আহমদ ছফা বলেছেন, বাঙালি মুসলমানের মন যে এখনও আদিম অবস্থায়, তা বাঙালি হওয়ার জন্যও নয় এবং মুসলমান হওয়ার জন্য নয়।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা থাকে। বড়দের বড় আর ছোটদের ছোট এই যা তফাৎ।
শিশুবেলায় সবুজ ও হলুদ রঙের কাঁঠাল পাতাকে টাকা বানিয়ে কে না খেলেছে?
২০২০ সাল শেষ হয়ে গেল। দেশের ষোলো কোটি মানুষ আগ্রহ ও উৎসাহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে নতুন ২০২১ সালকে অভ্যর্থনা জানাতে।
প্রায় ৪০০ বছরের রাজধানী পুরান ঢাকার রয়েছে দীর্ঘকালের ঐতিহ্য।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানে ফ্লাইওভারের নিচে সড়কে হকারদের জুতার দোকানে দোকানে ঘুরছিলেন আজিমপুর থেকে আসা আসাদ হোসেন।
সাপ নিয়ে কত না প্রবাদ প্রচলন গ্রাম-বাংলায় প্রচলিত আছে। তবে প্রবাদ বাক্য না নিয়ে সত্যিকার ঘটনাকে উদাহরণ দিয়ে লেখাটা শুরু করলাম।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ ছিল জনবিচ্ছিন্ন, কুয়োর ব্যাঙের মতো নিজ গ্রাম বড়জোর স্বদেশই ছিল তার চেনা জগতের মধ্যে।
‘নব ভারতের হলদিঘাট’ বুড়িবালাম নদীর তীরে যে লড়াইয়ের কথা কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন সেই লড়াইয়ের সেনাপতি ছিলেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
পাকিস্তানি শোষনের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা।
ভাস্কর্য ইস্যুটি বাংলাদেশে নতুন নয়। বহুদিন ধরেই চলে আসছে। ভাস্কর্য ভাঙ্গা,
শুরু হলো জ্বর, হাঁচি, কাশি। ডাক্তার বললেন, নমুনা দিয়ে আইসোলেশনে চলে যান।
সম্প্রতি ব্রিটেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে করোনার রূপ বদল করে নতুন স্ট্রেনের ছড়িয়ে পড়ার খবরে পৃথিবীজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
১. ২০২০ সাল যাই যাই করছে, পৃথিবীর সব মানুষ পারলে অনেক আগেই এটাকে
গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।
বাবা ছোট একটি শব্দ হলেও এর ব্যাপকতা বিশাল। বাবা ডাকের মাঝেই লুকিয়ে আছে কি গভীর ভালোবাসা, নিরাপত্তা ও নির্ভরতা। জন্ম
বাঙালি মুসলমানের স্বরূপ উন্মোচন করতে গিয়ে প্রখ্যাত লেখক আহমদ ছফা বলেছেন, বাঙালি মুসলমানের মন যে এখনও আদিম অবস্থায়, তা বাঙালি হওয়ার জন্যও নয় এবং মুসলমান হওয়ার জন্য নয়।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা থাকে। বড়দের বড় আর ছোটদের ছোট এই যা তফাৎ।
শিশুবেলায় সবুজ ও হলুদ রঙের কাঁঠাল পাতাকে টাকা বানিয়ে কে না খেলেছে?
২০২০ সাল শেষ হয়ে গেল। দেশের ষোলো কোটি মানুষ আগ্রহ ও উৎসাহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে নতুন ২০২১ সালকে অভ্যর্থনা জানাতে।
প্রায় ৪০০ বছরের রাজধানী পুরান ঢাকার রয়েছে দীর্ঘকালের ঐতিহ্য।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানে ফ্লাইওভারের নিচে সড়কে হকারদের জুতার দোকানে দোকানে ঘুরছিলেন আজিমপুর থেকে আসা আসাদ হোসেন।
সাপ নিয়ে কত না প্রবাদ প্রচলন গ্রাম-বাংলায় প্রচলিত আছে। তবে প্রবাদ বাক্য না নিয়ে সত্যিকার ঘটনাকে উদাহরণ দিয়ে লেখাটা শুরু করলাম।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ ছিল জনবিচ্ছিন্ন, কুয়োর ব্যাঙের মতো নিজ গ্রাম বড়জোর স্বদেশই ছিল তার চেনা জগতের মধ্যে।
‘নব ভারতের হলদিঘাট’ বুড়িবালাম নদীর তীরে যে লড়াইয়ের কথা কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন সেই লড়াইয়ের সেনাপতি ছিলেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
পাকিস্তানি শোষনের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা।
ভাস্কর্য ইস্যুটি বাংলাদেশে নতুন নয়। বহুদিন ধরেই চলে আসছে। ভাস্কর্য ভাঙ্গা,
শুরু হলো জ্বর, হাঁচি, কাশি। ডাক্তার বললেন, নমুনা দিয়ে আইসোলেশনে চলে যান।
দেশের ইসলামপন্থি দল হেফাজতে ইসলাম ঢাকার ধোলাইরপাড় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে গত কিছুদিন যাবত প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করে আসছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। জীবন-জীবিকার পাশাপাশি জাতির সার্বিক উন্নয়নে কৃষি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
যে কোন যুদ্ধে সবচেয়ে প্রথম এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী (বর্তমানে রোহিঙ্গা মহিলারা)।
মহামতি বুদ্ধ একদিন তার শিষ্যদের নিয়ে বসে আছেন। এমন সময় এক লোক এসে তার মুখে থুতু ছিটিয়ে দিল।
উজলপুর বাংলার শ্যামলিময় সবুজে ঘেরা একটি গ্রাম। ‘৭১ সালে এখানে পাকিস্তানি সেনা ও তার দোসর রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল মুক্তি সেনাদের।
বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে অতীতে কোন সরকারই তা করেনি।
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা নামক বাজারে একটি পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্প ছিল।
আমরা অভাগা বলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারলাম না।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের আবির্ভাব হয়েছে।
ভদ্র হিসেবে গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রতিবাদহীন নিষ্কর্মার ঢেঁকি অর্থাৎ অকোজো করে গড়ে তুলছি না তো?
তথ্যমতে এ বছরে গত ১০ মাসে অত্যন্ত কমপক্ষে ৪২ জন বাংলাদেশি সাধারণ জনগণ ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।