রোববার, ১০ জানুয়ারী ২০২১
ড. আনু মাহ্মুদ
১০ জানুয়ারি ১৯৭২; বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে ঢাকা শহর লোকে-লোকারণ্য। কণ্ঠে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। ওই দিন দুপুর ২টায় দিল্লি থেকে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমান বাংলার মাটি স্পর্শ করলে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। তিনি প্রত্যাবর্তনের পরে আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন- ‘হে কবিগুরু এসে দেখে যান, আমার সাত কোটি বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে।’
সেদিন বিকাল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে ভাষণ দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেছিলেন- ‘নেতা হিসেবে নয়, ভাই হিসেবে আমি আমার দেশবাসীকে বলছি- আমাদের সাধারণ মানুষ যদি আশ্রয় না পায়, খাবার না পায়, যুবকেরা যদি চাকরি বা কাজ না পায়, তাহলে আমাদের এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে, পূর্ণ হবে না। আমাদের এখন তাই অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের রাস্তা-ঘাট ভেঙে গেছে, সেগুলো মেরামত করতে হবে।’
বক্তৃতাদানকালে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ বারবার বাকরুদ্ধ হয়ে আসছিল। রুমাল দিয়ে তিনি চোখ মুছে নিচ্ছিলেন। জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যা ছিল জাতির জন্য দিক-নির্দেশনা। বাংলাদেশের আদর্শ ভিত্তি কী হবে, কাঠামো কী ধরনের হবে, পাকস্তানি বাহিনীর সাথে যারা দালালি ও সহযোগিতা করেছে তাদের কী হবে, বাংলাদেশকে বহির্বিশ^ স্বীকৃতি দেয়ার জন্য অনুরোধ, মুক্তিবাহিনী, ছাত্রসমাজ, কৃষক, শ্রমিকদের কাজ কী হবে, এসব বিষয়সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে যে নির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ভাষণকে একজন প্রাজ্ঞ রাষ্ট্রনায়কের নীতিনির্ধারণী ভাষণ বলে উল্লেখ করা যায়।
বঙ্গবন্ধু ডাক দিলেন দেশ গড়ার সংগ্রামের। রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত জনতা দু’হাত তুলে সেই সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি ভয়াবহ অস্থিতিশীল অবস্থা বঙ্গবন্ধুকে জেঁকে ধরল। ছিল হাজারো সমস্যা ও সংকটের নানা মাত্রিকতা। প্রধানত যেসব ভয়াবহ সমস্যা সামনে দাঁড়িয়েছিল তার মধ্যে-
(১) প্রায় তিন লাখ অস্ত্র বিভিন্ন ব্যক্তি, গ্রুপ, মুক্তিবাহিনী ও গেরিলা বাহিনী এমনকি জনগণের মাঝে ছড়ানো-ছিটানো ছিল;
(২) স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনীর হাতে ছিল প্রায় লক্ষাধিক অস্ত্র;
(৩) উগ্র চীনপন্থিদের হাতে ছিল কয়েক হাজার অস্ত্র;
(৪) মুজিব বাহিনীর অন্যতম নেতৃত্ব শেখ ফজলুল হক মণি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন- শেখ মুজিব দেশে ফিরে না এলে মুজিব বাহিনীর কেউই অস্ত্র জমা দেবে না;
(৫) জেনারেল উবানের ভাষ্যমতে, মুজিব বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল দশ সহস্রাধিক। তাদের কাছে ছিল অপেক্ষাকৃত উন্নত ধরনের অস্ত্র। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের অস্ত্র জমা দেয়ার আহ্বানে সবাই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন এমন বলা যাবে না। কিছুদিনের মধ্যে সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মিলিশিয়া ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়;
(৬) সেনাবাহিনীর মধ্যেও বিভিন্ন উপদলীয় কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, চেন অব কমান্ডের ভিত্তি ছিল নড়বড়ে;
(৭) বাংলাদেশে ভারতের মিত্রবাহিনী অবস্থান করার পরও বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবাদ পাওয়া যাচ্ছিল যে, ওই বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু কিছু সেনা কর্মকর্তার কথাকাটাকাটি এবং মৃদু সংঘর্ষ হচ্ছে। খুলনায় মেজর জলিলের সঙ্গে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় এবং শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে মেজর জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়;
(৮) স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ‘মুসলিম বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রচার-প্রোপাগান্ডা, এমনকি পাকিস্তান হাইফ্রিকোয়েন্সি বেতারযন্ত্র থেকে ‘মুসলিম বাংলার’ সপক্ষে প্রচারণা শুরু করে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার করে। আলবদর, আলশামস-রাজাকার ও অন্যান্য বাহিনী যাদের অধিকাংশ ছিল নন-বেঙ্গলি, তারা বলতে গেলে মিরপুর-সৈয়দপুর এলাকা দখল করে রেখেছিল। বহু বাঙালিকে হত্যা করে;
(৯) এমতাবস্থায় ভারতীয় মিত্রবাহিনী বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে এটা হতো বিরাট প্রতিবন্ধকতা। মার্কিন নথিপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিরে না এলে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা সহসা আসত না এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে সংঘর্ষ ও সশস্ত্র আন্তঃকোন্দলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে তুলত। অন্যদিকে উপমহাদেশে যুদ্ধাবস্থা ও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো;
(১১) আরও একটি মৌলিক বিষয় ছিল- মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ৩০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। বিবিসি ও পশ্চিমা মিডিয়ার সূত্রমতে, এক কোটি লোক অনাহারে মারা যেত। তিন কোটি ছিন্নমূল মানুষ যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছিল। জামির ফসল বিনষ্ট হয়েছিল, অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল ৫০ লাখ ঘরবাড়ি, জল-নৌ-বন্দরসহ অবকাঠামো বলতে গেলে সবকিছু ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত। রেল, নৌযান ও সড়ক পরিবহন ছিল অচল;
(১১) সশস্ত্র যুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন দেশের উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে তোলা এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো শক্তি ও সামর্থ্য সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্বের পক্ষে মোকাবিলা করা ছিল বিরাট অনিশ্চিত চ্যালেঞ্জ;
(১২) বঙ্গবন্ধু ফিরে আসা পর্যন্ত অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলো মাত্র দুটি দেশ- ভুটান ও ভারত।
(১৩) উগ্র চীনপন্থিরা বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্রভাবে খুন, লুট ও রাষ্ট্রদ্রোহ কার্যকলাপে লিপ্ত হয় এবং কোথাও তারা লাল পতাকা উড়িয়ে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করে। উগ্র চীনপন্থিদের একটি গ্রুপের নেতা আবদুল হক পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টোর কাছে পত্র পাঠিয়ে অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য চেয়েছিল;
(১৪) এর পাশাপাশি পাকিস্তানের সরাসরি মদদে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশ-বার্মার বর্ডারে উপস্থিত পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে একত্র হয়ে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়;
(১৫) এর সঙ্গে উগ্র চীনপন্থিরা যশোর, নোয়াখালী, পাবনা, আত্রাই এলাকায় ‘খতমের রাজনীতি’ শুরু করে এবং এ লক্ষ্যে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের জন্য এগুলো ছিল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অস্তিত্বের জন্য হুমকি। এগুলো কোনটাই উপেক্ষার মতো ছিল না,
(১৬) মার্কিন গোপন দলিলপত্রে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শেখ মুজিব যদি বাংলাদেশে ফিরতে না পারেন অথবা যদি তাকে ফাঁসি দেয়া হয়, তাহলে শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো হয়ে পড়বে অস্থিতিশীল;
(১৭) হেনরি কিসিঞ্জার বলেন- শেখ মুজিব স্বদেশে প্রত্যাবর্তন না করলে পশ্চিমবঙ্গের বাকশালপন্থিরা বাংলাদেশকে উর্বরক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করবে এবং ভারতেও তা ছড়িয়ে দেবে; অন্যদিকে বাংলদেশে আটক ৯৩ হাজার সৈন্যের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে উঠবে। তেমনি পশ্চিম পাকিস্তান বন্দিশিবিরে চার লাখ সামরিক-বেসামরিক বাঙালির জীবন হয়ে পড়বে দুঃসহ;
(১৮) এমন অবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্বস্বীকৃতির প্রশ্নে জটিল আবর্তে পড়ে যেত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নথিতে লক্ষণীয়- রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে তারা পাকিস্তানের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছিল;
(১৯) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশে ফিরে না এলে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুসংহত, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, মৃত্যুমুখে পতিত লাখ লাখ মানুষের জীবনমান রক্ষা, জনজীবনের নিরাপত্তা বিধান, অস্ত্র উদ্ধার ও দ্রুত সময়ে রক্তের মূল্যে লেখা সংবিধান উপহার পেত কী?
সেই বিচারে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস শুধু একটি দিবস নয়, নানা মাত্রিকতায়ও তাৎপর্যপূর্ণ।
[লেখক : অর্থনীতির বিশ্লেষক, কলামিস্ট]
anumahmud@yahoo.com
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও গত ৯ মাস ধরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
পুরো নাম ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’, একটি সংগঠনের জন্য নামটি যথেষ্ট
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে বাংলাদেশ চলতি অর্থবছর ২০২০-২১ সালের প্রথম মাস তথা জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১
দেশে লাখ লাখ রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা, আদালতে দীর্ঘসূত্রতা সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিচারিক কর্তৃপক্ষের অভাবে এসব মামলায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
শীতকাল দরিদ্র-গরিব মানুষের জন্য যেন এক অভিশাপের নাম!
ক’দিন আগে রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ও-লেভেলের এক ছাত্রী তার এক বন্ধুর বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রসভ্যতা বিকশিত হতে থাকে। যা ক্রমবিকাশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এসে উপস্থিত হয়েছে।
কারও পক্ষে বিশ্বাস করাও কঠিন হবে যে দুই দশক আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশে শিক্ষার ডিজিটাল যাত্রার সূচনা হয়েছে, আর তার দুই দশক পর বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তে পা রেখেছে।
সে অনুসারে আগামী চার বছরে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
১৬ মার্চ ২০১৯ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বিকল্প উপায় হিসেবে অনলাইন ক্লাসকে বেছে নেয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুকে সবাই বলছেন বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বড় বড় নেতাদের মুখরোচক বক্তব্য খুব আমোদজনক।
রাজধানী ঢাকাসহ প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে এবং শিল্প ও বাণিজ্যের দ্রুত বিকাশের অনুষঙ্গ হিসেবে গড়ে ওঠা শহরে বসবাসরত
আওয়ামী লীগের মাননীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন
১. পার্বত্য চট্টগ্রামের ম্রো জনগোষ্ঠীর কোন একজনকে প্রশ্ন করলে- কেমন আছে আদিবাসী ম্রোরা!
ইংরেজি নববর্ষ ২০২১-এর প্রথম দিনে বদলে গেল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত।
১৯৭১ সালে দিনাজপুর জেলা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ভারতীয় সৈনিকদের একটি ক্যাম্প করা হয়েছিল দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।
হাত ধোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস; যার মাধ্যমে সহজেই অসুস্থতা থেকে বাঁচা যায়।
‘সব কিছুই আমরা ভুলে যাই’ এমন অপবাদ জাতিগতভাবে আমরা পেয়ে থাকি। দূরের ইতিহাস তো বটেই, খুব কাছের ইতিহাসই আমরা মনে রাখি না।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের দিনে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ব্রিটেনে রূপান্তরিত নতুন ধরন এবং অধিক সংক্রামক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
বাঙালি মুসলমানের স্বরূপ উন্মোচন করতে গিয়ে প্রখ্যাত লেখক আহমদ ছফা বলেছেন, বাঙালি মুসলমানের মন যে এখনও আদিম অবস্থায়, তা বাঙালি হওয়ার জন্যও নয় এবং মুসলমান হওয়ার জন্য নয়।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা থাকে। বড়দের বড় আর ছোটদের ছোট এই যা তফাৎ।
শিশুবেলায় সবুজ ও হলুদ রঙের কাঁঠাল পাতাকে টাকা বানিয়ে কে না খেলেছে?
২০২০ সাল শেষ হয়ে গেল। দেশের ষোলো কোটি মানুষ আগ্রহ ও উৎসাহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে নতুন ২০২১ সালকে অভ্যর্থনা জানাতে।
প্রায় ৪০০ বছরের রাজধানী পুরান ঢাকার রয়েছে দীর্ঘকালের ঐতিহ্য।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানে ফ্লাইওভারের নিচে সড়কে হকারদের জুতার দোকানে দোকানে ঘুরছিলেন আজিমপুর থেকে আসা আসাদ হোসেন।
সাপ নিয়ে কত না প্রবাদ প্রচলন গ্রাম-বাংলায় প্রচলিত আছে। তবে প্রবাদ বাক্য না নিয়ে সত্যিকার ঘটনাকে উদাহরণ দিয়ে লেখাটা শুরু করলাম।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ ছিল জনবিচ্ছিন্ন, কুয়োর ব্যাঙের মতো নিজ গ্রাম বড়জোর স্বদেশই ছিল তার চেনা জগতের মধ্যে।
‘নব ভারতের হলদিঘাট’ বুড়িবালাম নদীর তীরে যে লড়াইয়ের কথা কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন সেই লড়াইয়ের সেনাপতি ছিলেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
পাকিস্তানি শোষনের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা।
ভাস্কর্য ইস্যুটি বাংলাদেশে নতুন নয়। বহুদিন ধরেই চলে আসছে। ভাস্কর্য ভাঙ্গা,
শুরু হলো জ্বর, হাঁচি, কাশি। ডাক্তার বললেন, নমুনা দিয়ে আইসোলেশনে চলে যান।
সম্প্রতি ব্রিটেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে করোনার রূপ বদল করে নতুন স্ট্রেনের ছড়িয়ে পড়ার খবরে পৃথিবীজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
১. ২০২০ সাল যাই যাই করছে, পৃথিবীর সব মানুষ পারলে অনেক আগেই এটাকে
গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।
বাবা ছোট একটি শব্দ হলেও এর ব্যাপকতা বিশাল। বাবা ডাকের মাঝেই লুকিয়ে আছে কি গভীর ভালোবাসা, নিরাপত্তা ও নির্ভরতা। জন্ম
বাঙালি মুসলমানের স্বরূপ উন্মোচন করতে গিয়ে প্রখ্যাত লেখক আহমদ ছফা বলেছেন, বাঙালি মুসলমানের মন যে এখনও আদিম অবস্থায়, তা বাঙালি হওয়ার জন্যও নয় এবং মুসলমান হওয়ার জন্য নয়।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা থাকে। বড়দের বড় আর ছোটদের ছোট এই যা তফাৎ।
শিশুবেলায় সবুজ ও হলুদ রঙের কাঁঠাল পাতাকে টাকা বানিয়ে কে না খেলেছে?
২০২০ সাল শেষ হয়ে গেল। দেশের ষোলো কোটি মানুষ আগ্রহ ও উৎসাহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে নতুন ২০২১ সালকে অভ্যর্থনা জানাতে।
প্রায় ৪০০ বছরের রাজধানী পুরান ঢাকার রয়েছে দীর্ঘকালের ঐতিহ্য।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানে ফ্লাইওভারের নিচে সড়কে হকারদের জুতার দোকানে দোকানে ঘুরছিলেন আজিমপুর থেকে আসা আসাদ হোসেন।
সাপ নিয়ে কত না প্রবাদ প্রচলন গ্রাম-বাংলায় প্রচলিত আছে। তবে প্রবাদ বাক্য না নিয়ে সত্যিকার ঘটনাকে উদাহরণ দিয়ে লেখাটা শুরু করলাম।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ ছিল জনবিচ্ছিন্ন, কুয়োর ব্যাঙের মতো নিজ গ্রাম বড়জোর স্বদেশই ছিল তার চেনা জগতের মধ্যে।
‘নব ভারতের হলদিঘাট’ বুড়িবালাম নদীর তীরে যে লড়াইয়ের কথা কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন সেই লড়াইয়ের সেনাপতি ছিলেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
পাকিস্তানি শোষনের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা।
ভাস্কর্য ইস্যুটি বাংলাদেশে নতুন নয়। বহুদিন ধরেই চলে আসছে। ভাস্কর্য ভাঙ্গা,
শুরু হলো জ্বর, হাঁচি, কাশি। ডাক্তার বললেন, নমুনা দিয়ে আইসোলেশনে চলে যান।
দেশের ইসলামপন্থি দল হেফাজতে ইসলাম ঢাকার ধোলাইরপাড় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে গত কিছুদিন যাবত প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করে আসছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। জীবন-জীবিকার পাশাপাশি জাতির সার্বিক উন্নয়নে কৃষি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
যে কোন যুদ্ধে সবচেয়ে প্রথম এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী (বর্তমানে রোহিঙ্গা মহিলারা)।
মহামতি বুদ্ধ একদিন তার শিষ্যদের নিয়ে বসে আছেন। এমন সময় এক লোক এসে তার মুখে থুতু ছিটিয়ে দিল।
উজলপুর বাংলার শ্যামলিময় সবুজে ঘেরা একটি গ্রাম। ‘৭১ সালে এখানে পাকিস্তানি সেনা ও তার দোসর রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল মুক্তি সেনাদের।
বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে অতীতে কোন সরকারই তা করেনি।
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা নামক বাজারে একটি পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্প ছিল।
আমরা অভাগা বলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারলাম না।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের আবির্ভাব হয়েছে।
ভদ্র হিসেবে গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রতিবাদহীন নিষ্কর্মার ঢেঁকি অর্থাৎ অকোজো করে গড়ে তুলছি না তো?
তথ্যমতে এ বছরে গত ১০ মাসে অত্যন্ত কমপক্ষে ৪২ জন বাংলাদেশি সাধারণ জনগণ ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।