মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১
অগ্নিযুগের বিপ্লবী
জোবায়ের আলী জুয়েল
মাস্টার দা সূর্য সেন ১৮৯৩ সালে ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলার, রাউজান থানার অন্তর্গত নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বহরমপুর কলেজে অধ্যয়নকালে তার শিক্ষক অধ্যাপক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তীর মাধ্যমে তিনি গোপন বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে পরিচিত হন এবং অবিভক্ত ভারতের মুক্তির জন্য বিপ্লবী সংগ্রামের যোগদানের প্রেরণা লাভ করেন।
শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে সূর্য সেন চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ান বাজার এলাকার ‘উমাতারা’ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ‘মাস্টার দা’ নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের বিপ্লবী কর্মী অনুরূপ সেন, চারু বিকাশ দত্ত, অম্বিকা চক্রবর্তী, নগেন্দ্রনাথ সেন প্রমূখের সঙ্গে গোপন বিপ্লবী দল গঠনের কাজ শুরু করেন। দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবলে তিনি কিছুদিনের মধ্যেই দলের নেতা হিসেবে স্বীকৃত হন। দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রত্যক্ষ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে তিনি ছেড়ে দিলেন শিক্ষকতা। ছেড়ে দিলেন সংসার, হলেন সর্ব ত্যাগী, মুক্তির সাধক। বিপ্লবী তরুণ সমাজের সর্বাধিনায়ক।
১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সূর্য সেন যুবক দের বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। কিছু দিন পর গান্ধিজী অহিংস আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলে সূর্য সেন অস্ত্র ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিপ্লবীদের অর্থ সংগ্রহের নির্দ্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তারই নির্দেশে অনন্ত সিংহ দেবেন দে ও নির্মল সেন চট্টগ্রাম শহরের উপকণ্ঠে পাহাড়তলীতে অবস্থিত ‘আসাম বেঙ্গল’ রেলওয়ে কোম্পানির কারখানার কর্মচারীদের বেতন ভাতার ১৭ হাজার টাকা ছিনতাই করেন।
এর কিছুদিন পর পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সূর্য সেনের আস্তানায় হানা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে একখন্ড যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে শারীরিক সার্মথ্য হারিয়ে সূর্য সেন ও অম্বিকা চক্রবর্তী বিষ পানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। কিন্তু বিষক্রিয়া তীব্র না হওয়ায় তারা উভয়েই সে যাত্রায় বেঁচে যান এবং গ্রেপ্তার হন। তবে বিচারে তাদের কোন অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা মুক্তি লাভ করেন। ১৯২৬ সালে সূর্য সেন টের্গাট হত্যা প্রচেষ্টার দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন এবং ১৯২৮ সালে বোম্বাইয়ের “রত্নগিরি জেল” থেকে মুক্তি পান। ১৯২৯ সালের গোড়ার দিকে সূর্য সেন চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন এবং ওই বছরই তারই নেতৃত্বে চট্টগ্রামে চারটি বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুব সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।
১৯৩০ সালের শুরুতে সূর্য সেন চট্টগ্রামে একটি সুসংঘটিত বিপ্লব সংঘটিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। সে বছর ১৮ এপ্রিল তার নেতৃত্বে মোট ৬০ জন বিপ্লবী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে পাহাড়তলীর ফৌজি আস্ত্রাগার দখল করেন এবং চট্টগ্রামকে স্বাধীন ঘোষণা করেন। সে সঙ্গে চট্টগ্রামে সামরিক বিপ্লবী সরকার ও গঠন করা হয়। সশস্ত্র বিদ্রোহের চার দিন পর অর্থাৎ ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের উপকণ্ঠে জালালাবাদ পাহাড়ে বিপ্লবীদের সঙ্গে সুসজ্জিত ইংরেজ বাহিনীর সম্মুখ য্দ্ধু সংঘটিত হয়। সূর্য সেন আর লোকনাথ বলের চাতুর্যপূর্ণ আক্রমণে ইংরেজ বাহিনী পর্যুদস্ত ও পরাভূত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজদের সঙ্গে বিপ্লবীদের আরও কয়েকবার খন্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তখন সূর্য সেন আত্মগোপন করে বিপ্লবী তৎপরতা অব্যাহত রাখেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সরকার সে’সময় ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
১৯৩৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এক নিকটাত্মীয়ের বিশ্বাস ঘাতকতায় চট্টগ্রামের পটিয়ার গৈরালা গ্রামের ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাস নাম্নী এক পৌঢ়া মহিলার বাড়িতে অবস্থানকালে গুর্খা সৈন্যের হাতে ধরা পড়েন। বিপ্লবী নেতা সূর্য সেন ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলে ফাঁসিতে আত্মাহুতি দেন।
মাস্টারদা সূর্য সেনকে ফাঁসি কাস্টে ঝোলানোর আগে তাকে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়েছিল। আঘাতে আঘাতে মাস্টার দা’র সব দাঁত সেদিন উপড়ে তুলে নেয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ওরা ফাঁসি দিয়েছিল মাস্টার দা’কে নয়, তার রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত অচৈতন্য দেহটাকে। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার তার মৃতদেহ ১৫ মণ পাথর বেঁধে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়েছিল। বাঙালি জাতির ইতিহাসে শহীদ সূর্য সেন অমর অক্ষয়।
[লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা]
jewelwriter53@gmail.com
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও গত ৯ মাস ধরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
পুরো নাম ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’, একটি সংগঠনের জন্য নামটি যথেষ্ট
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে বাংলাদেশ চলতি অর্থবছর ২০২০-২১ সালের প্রথম মাস তথা জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১
দেশে লাখ লাখ রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা, আদালতে দীর্ঘসূত্রতা সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিচারিক কর্তৃপক্ষের অভাবে এসব মামলায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
শীতকাল দরিদ্র-গরিব মানুষের জন্য যেন এক অভিশাপের নাম!
ক’দিন আগে রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ও-লেভেলের এক ছাত্রী তার এক বন্ধুর বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রসভ্যতা বিকশিত হতে থাকে। যা ক্রমবিকাশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এসে উপস্থিত হয়েছে।
কারও পক্ষে বিশ্বাস করাও কঠিন হবে যে দুই দশক আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশে শিক্ষার ডিজিটাল যাত্রার সূচনা হয়েছে, আর তার দুই দশক পর বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তে পা রেখেছে।
সে অনুসারে আগামী চার বছরে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
১৬ মার্চ ২০১৯ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বিকল্প উপায় হিসেবে অনলাইন ক্লাসকে বেছে নেয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুকে সবাই বলছেন বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বড় বড় নেতাদের মুখরোচক বক্তব্য খুব আমোদজনক।
রাজধানী ঢাকাসহ প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে এবং শিল্প ও বাণিজ্যের দ্রুত বিকাশের অনুষঙ্গ হিসেবে গড়ে ওঠা শহরে বসবাসরত
আওয়ামী লীগের মাননীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন
১. পার্বত্য চট্টগ্রামের ম্রো জনগোষ্ঠীর কোন একজনকে প্রশ্ন করলে- কেমন আছে আদিবাসী ম্রোরা!
ইংরেজি নববর্ষ ২০২১-এর প্রথম দিনে বদলে গেল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত।
১৯৭১ সালে দিনাজপুর জেলা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ভারতীয় সৈনিকদের একটি ক্যাম্প করা হয়েছিল দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।
হাত ধোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস; যার মাধ্যমে সহজেই অসুস্থতা থেকে বাঁচা যায়।
‘সব কিছুই আমরা ভুলে যাই’ এমন অপবাদ জাতিগতভাবে আমরা পেয়ে থাকি। দূরের ইতিহাস তো বটেই, খুব কাছের ইতিহাসই আমরা মনে রাখি না।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের দিনে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ব্রিটেনে রূপান্তরিত নতুন ধরন এবং অধিক সংক্রামক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
বাঙালি মুসলমানের স্বরূপ উন্মোচন করতে গিয়ে প্রখ্যাত লেখক আহমদ ছফা বলেছেন, বাঙালি মুসলমানের মন যে এখনও আদিম অবস্থায়, তা বাঙালি হওয়ার জন্যও নয় এবং মুসলমান হওয়ার জন্য নয়।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা থাকে। বড়দের বড় আর ছোটদের ছোট এই যা তফাৎ।
শিশুবেলায় সবুজ ও হলুদ রঙের কাঁঠাল পাতাকে টাকা বানিয়ে কে না খেলেছে?
২০২০ সাল শেষ হয়ে গেল। দেশের ষোলো কোটি মানুষ আগ্রহ ও উৎসাহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে নতুন ২০২১ সালকে অভ্যর্থনা জানাতে।
প্রায় ৪০০ বছরের রাজধানী পুরান ঢাকার রয়েছে দীর্ঘকালের ঐতিহ্য।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানে ফ্লাইওভারের নিচে সড়কে হকারদের জুতার দোকানে দোকানে ঘুরছিলেন আজিমপুর থেকে আসা আসাদ হোসেন।
সাপ নিয়ে কত না প্রবাদ প্রচলন গ্রাম-বাংলায় প্রচলিত আছে। তবে প্রবাদ বাক্য না নিয়ে সত্যিকার ঘটনাকে উদাহরণ দিয়ে লেখাটা শুরু করলাম।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ ছিল জনবিচ্ছিন্ন, কুয়োর ব্যাঙের মতো নিজ গ্রাম বড়জোর স্বদেশই ছিল তার চেনা জগতের মধ্যে।
‘নব ভারতের হলদিঘাট’ বুড়িবালাম নদীর তীরে যে লড়াইয়ের কথা কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন সেই লড়াইয়ের সেনাপতি ছিলেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
পাকিস্তানি শোষনের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা।
ভাস্কর্য ইস্যুটি বাংলাদেশে নতুন নয়। বহুদিন ধরেই চলে আসছে। ভাস্কর্য ভাঙ্গা,
শুরু হলো জ্বর, হাঁচি, কাশি। ডাক্তার বললেন, নমুনা দিয়ে আইসোলেশনে চলে যান।
সম্প্রতি ব্রিটেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে করোনার রূপ বদল করে নতুন স্ট্রেনের ছড়িয়ে পড়ার খবরে পৃথিবীজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
১. ২০২০ সাল যাই যাই করছে, পৃথিবীর সব মানুষ পারলে অনেক আগেই এটাকে
গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।
বাবা ছোট একটি শব্দ হলেও এর ব্যাপকতা বিশাল। বাবা ডাকের মাঝেই লুকিয়ে আছে কি গভীর ভালোবাসা, নিরাপত্তা ও নির্ভরতা। জন্ম
বাঙালি মুসলমানের স্বরূপ উন্মোচন করতে গিয়ে প্রখ্যাত লেখক আহমদ ছফা বলেছেন, বাঙালি মুসলমানের মন যে এখনও আদিম অবস্থায়, তা বাঙালি হওয়ার জন্যও নয় এবং মুসলমান হওয়ার জন্য নয়।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা থাকে। বড়দের বড় আর ছোটদের ছোট এই যা তফাৎ।
শিশুবেলায় সবুজ ও হলুদ রঙের কাঁঠাল পাতাকে টাকা বানিয়ে কে না খেলেছে?
২০২০ সাল শেষ হয়ে গেল। দেশের ষোলো কোটি মানুষ আগ্রহ ও উৎসাহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে নতুন ২০২১ সালকে অভ্যর্থনা জানাতে।
প্রায় ৪০০ বছরের রাজধানী পুরান ঢাকার রয়েছে দীর্ঘকালের ঐতিহ্য।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানে ফ্লাইওভারের নিচে সড়কে হকারদের জুতার দোকানে দোকানে ঘুরছিলেন আজিমপুর থেকে আসা আসাদ হোসেন।
সাপ নিয়ে কত না প্রবাদ প্রচলন গ্রাম-বাংলায় প্রচলিত আছে। তবে প্রবাদ বাক্য না নিয়ে সত্যিকার ঘটনাকে উদাহরণ দিয়ে লেখাটা শুরু করলাম।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ ছিল জনবিচ্ছিন্ন, কুয়োর ব্যাঙের মতো নিজ গ্রাম বড়জোর স্বদেশই ছিল তার চেনা জগতের মধ্যে।
‘নব ভারতের হলদিঘাট’ বুড়িবালাম নদীর তীরে যে লড়াইয়ের কথা কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন সেই লড়াইয়ের সেনাপতি ছিলেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
পাকিস্তানি শোষনের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা।
ভাস্কর্য ইস্যুটি বাংলাদেশে নতুন নয়। বহুদিন ধরেই চলে আসছে। ভাস্কর্য ভাঙ্গা,
শুরু হলো জ্বর, হাঁচি, কাশি। ডাক্তার বললেন, নমুনা দিয়ে আইসোলেশনে চলে যান।
দেশের ইসলামপন্থি দল হেফাজতে ইসলাম ঢাকার ধোলাইরপাড় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে গত কিছুদিন যাবত প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করে আসছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। জীবন-জীবিকার পাশাপাশি জাতির সার্বিক উন্নয়নে কৃষি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
যে কোন যুদ্ধে সবচেয়ে প্রথম এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী (বর্তমানে রোহিঙ্গা মহিলারা)।
মহামতি বুদ্ধ একদিন তার শিষ্যদের নিয়ে বসে আছেন। এমন সময় এক লোক এসে তার মুখে থুতু ছিটিয়ে দিল।
উজলপুর বাংলার শ্যামলিময় সবুজে ঘেরা একটি গ্রাম। ‘৭১ সালে এখানে পাকিস্তানি সেনা ও তার দোসর রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল মুক্তি সেনাদের।
বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে অতীতে কোন সরকারই তা করেনি।
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা নামক বাজারে একটি পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্প ছিল।
আমরা অভাগা বলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারলাম না।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের আবির্ভাব হয়েছে।
ভদ্র হিসেবে গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রতিবাদহীন নিষ্কর্মার ঢেঁকি অর্থাৎ অকোজো করে গড়ে তুলছি না তো?
তথ্যমতে এ বছরে গত ১০ মাসে অত্যন্ত কমপক্ষে ৪২ জন বাংলাদেশি সাধারণ জনগণ ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।