রোববার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
আফসান চৌধুরী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন পত্রপত্রিকায় অনেক আলোচনা-সমালোচনা খেয়াল করছি। এদের অনেকে মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর উন্নয়নের দরকার। আবার অনেকেই মনে করছেন, উন্নয়ন হতে হলে ইতিহাস বা ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়েই হতে হবে। উন্নয়ন বলতে শুধু বহুতল বিশাল ভবন নির্মাণ করে ‘ইতিহাস ঐতিহ্যের খেতা পুড়ি’ ধরনের কার্যক্রমকে বোঝায় না।
কিন্তু আমি তো এদের কোন পথেই হাঁটছি না। এর কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকে ছাত্র-শিক্ষকের প্রাণকেন্দ্র বলা হলেও আমার জন্য এটি প্রাণকেন্দ্র ছিল না। ১৯৭২-৭৭ সাল পর্যন্ত ছাত্রজীবনে আমি খুব বেশি টিএসসিতে যাইনি। আমার আড্ডাস্থল ছিল শরীফ মিয়ার ক্যন্টিন।
কিন্তু এই শরীফ মিয়ার ক্যান্টিন আসলে কী ছিল?
শরীফ মিয়ার ক্যান্টিন ছিল শিল্প-সাহিত্য-চিত্রকলা-সঙ্গীতের এক মহা তীর্থস্থান। কে আসতেন না সেখানে? শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে জড়িত, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তৎপর এমন সবাই আসতেন। তারা যে সবাই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলেন, তা নয়।
এই শরীফ মিয়ার ক্যান্টিনের কথা কিন্তু এখন প্রায় মানুষই ভুলে গেছে বা জানে না। অথচ আমাদের প্রজন্মের অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্বের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা হতো এই ছোট্ট ছাপড়া বেঁড়ার ছাউনির নিচে।
এই ছোট্ট ছাপড়াটা কীভাবে সেই সৃজনশীল প্রতিভা ধরদের মুক্তচিন্তার ছাউনি আর সৃষ্টির আশ্বাস দিত, তা এখন ভাবলে অবাক লাগে!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই একে উঠিয়ে দিয়েছিল। আমার মনে আছে সেদিনের কথা, শরীফ মিয়া চুপ করে বসে ছিলেন। কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। মনে খুব আঘাত লেগেছিল আমার। কারণ, শরীফ মিয়ার ওই ছোট্ট ঝুপড়ির সঙ্গে মিশে আছে আমাদের আত্মার বন্ধন।
কিন্তু এই শরীফ মিয়ার ক্যান্টিন যখন গুঁড়িয়ে দেয়া হলো, তা নিয়ে তেমন কোন উচ্চবাচ্য বা প্রচার হলো না, যতটা আজ টিএসসিকে নিয়ে হচ্ছে। কারণ, টিএসসি তো শরীফ মিয়ার মতো ছোট্ট কোন ছাপড়া নয়। এখানে শিক্ষক-ছাত্রসহ সব বড় বড় ব্যক্তিত্বের যাতায়াত। গ্রিক স্থপতির নির্মিত এই টিএসসিতে সরকারি অনুদানও রয়েছে অনেক। তাই টিএসসির জন্যই আমাদের সব কান্না থাকবে; ও রকম একটা ঝুপড়ির জন্য তো নয়।
কিন্তু শরীফ মিয়ার ক্যান্টিন আমাদের যা দিয়েছে, তা নিয়ে আজ কোথাও কোন কিছু উচ্চারিত হয় না। আজকের সময়ে দাঁড়িয়েও সগর্বে বলতে পারি, আমি শরীফ মিয়ার ক্যান্টিন থেকে যা শিখেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তা শিখিনি। কিন্তু ক্যান্টিনটি নিয়ে কেউ তেমন কোন দুঃখ করেনি। এই ক্যান্টিন নিয়ে একটি লেখাও লিখেছিলাম; কিন্তু সেটিও তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কারণ, ও রকম একটা সামান্য ঝুপড়ির জন্য কাঁদলে তো আর নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক বলে প্রচার করা সাজে না!
কিন্তু কেন? তাহলে কি মানুষের মন নির্বাচিত ইতিহাসকে নিয়েই কাঁদে শুধু? বাংলাদেশের মানুষ কি তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে কেবল বেছে বেছে প্রাতিষ্ঠানিক আর বড় বড় ইতিহাসকেই আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়?
উত্তর, হ্যাঁ। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বড় বড় কথা বলি ঠিকই, কিন্তু জানতে চাই না এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা; জানতে চাই না জগন্নাথ হল, ইকবাল হলের সেসব শহীদের কথা; জানতে চাই না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেসব শহীদের আত্মত্যাগের গল্প।
বিশেষ বিশেষ উপলক্ষে বড় বড় সেমিনার, বক্তৃতা এবং বিশেষ দিনগুলোতে বড় বড় স্তম্ভে ফুল দিয়েই আমাদের দায়িত্ব খালাস। যে কারণে আমাদের ইতিহাসগুলোও রয়ে যায় ভীষণভাবে অসম্পূর্ণ এবং নির্বাচিত।
আমাদের এই স্মৃতিবিলাসিতা যদি নস্টালজিয়ার সীমানা পার হয়ে ঐতিহাসিকতার সীমানায় যেত, ভালো হতো। তাহলে আমরা দালান-কোঠার বাইরে গিয়ে স্মৃতি খুঁজতাম, রক্ষা করার চেষ্টা করতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন স্মৃতিরক্ষার যে আন্দোলন চলছে, সেখানে কতটুকু ৭১-এর স্মৃতি মিশে আছে?
আমাদের চোখে রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রের প্রতীক মধুর ক্যান্টিন। কারণ, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে জড়ো হতো। কিন্তু মধুদা মানুষটা কে ছিলেন, তার কী হয়েছিল- সেই খবর আমরা রাখি না। কারণ, আমাদের কাছে ক্যান্টিনটি বড়; সেই মানুষ বা তার ভূমিকা নয়।
এই মধুদার মতো অনেক হিন্দুর সেই ভয়াল ২৫ মার্চ রাতে মেরে ফেলা হয় জগন্নাথ হলে; আমরা তাদের খবর রাখিও না, রাখতে চাইও না। কারণ, তাদের নিয়ে তেমন কোন স্মৃতিস্তম্ভ দালান-কোঠার চিহ্ন নেই।
তাই এ কথা বলতে কোন দ্বিধা নেই যে, প্রান্তিক মানুষদের ভুলে যাওয়াটাই আমাদের ইতিহাস চর্চার অন্যতম লক্ষ্য।
টিএসসি থাকল কি গেল, এতে ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু এসে যায় না: গেলে যাবে, থাকলে থাকবে। ওটা আমার ইতিহাসের অংশ নয়; তাই কোন বাড়তি পিরিতও নেই।
তবে কোনটা মনে রাখার যোগ্য আর কোনটা অযোগ্য, তার একটা নিরিখ করা দরকার। সেই নিরিখে সাধারণ ঝুপড়ি বা সাধারণ মানুষের ইতিহাস থাকবে না। কারণ, তার জন্য ফেসবুক গরম করার দরকার হয় না; কারণ, ব্রাত্যদের, প্রান্তিকদের ইতিহাসকে হয়তো ইতিহাস বলেই আমরা স্বীকৃতি দিই না।
ঝুপড়ির আবার ইতিহাস কী? গরিবের আবার মুক্তিযুদ্ধ কী? জগন্নাথ হলের যে নারী এই রাতের দাহ্য স্মৃতি ভুলতে পারে না, সে কে? তাই আমরা ‘৭১ খুঁজি বড় বড় দালান-কোঠায়, কংক্রিটের মিনারে, বড় মানুষদের স্মৃতিচারণে। ...
আমরা তো গ্রামে গিয়ে জানতে চাইব না, ‘কয়জন মারা গেছিল? কেমনে? কয়টা বিধবা হইছিল? হেরা গেছিল কই? কেমনে? পাকিস্তান আর্মি হেগো কবরের ওপর খাড়ায়া মুতছিল?’ ওইসব ইতিহাস তো দূরের কথা, স্মৃতিধারণেরও যোগ্য নয়। তাই কেউ জানে না, সত্যিকারের ’৭১ দেখতে কেমন ছিল।
যেদিন শরীফ মিয়ার ক্যান্টিন ভেঙে দিল, আমরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম। কবি নির্মলেন্দু গুণ তখন জিজ্ঞাসা করেছিলেন মাটিতে বসা শরীফ মিয়াকে, ‘এবার কী করবেন, কই যাবেন?’ শরীফ মিয়া না তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘জানি না।’
সত্যিকারের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আমরা লালন করতে পারি না আমাদের মাঝে। টিএসসির বেলায়ও আমি তাই-ই বলব। খুব খারাপ শোনালেও এটাই বাস্তব। শরীফ মিয়ার ক্যান্টিনের মতো (আপাত চোখে) ক্ষুদ্র ইতিহাস, ঐতিহ্যগুলোকে আমরা মনে রাখতে চাই না। কারণ টিএসসির মতো বড় বড়, খ্যাতিমান বিষয়ের প্রতিই আমাদের যাবতীয় সব আগ্রহ আর আবেগ।
আমাদের ইতিহাস কোনটা, সেটা নির্ভর করে আমরা কে, আর কী মনে রাখতে চাই।
আমরা কোন স্মৃতি বা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করার জন্য লড়তে চাই, কেন ক্ষমতাবান বা অভিজাত মানুষের ইতিহাস মনে রাখি আর প্রান্তিক মানুষের ইতিহাস ভুলে যাই? এটি কোন ধরনের ইতিহাস সচেতনতা? এই প্রশ্নটিই আমার সবার কাছে। তার সুতা ধরে টান দিলে অনেক দূর পর্যন্ত যাবে, একেবারে টিএসসি পর্যন্ত।
[লেখক : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক]
২০১৯ সালে ৫ম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে।
যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ যত ঘটছে মানুষ ততই ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার ঘেরাটোপে আটকা পড়ছে।
একুশ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হলো। সারা বিশ্ব এই দিনটি অন্তরের গভীর আবেগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গ্রাম হবে শহর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা
২০১৯ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ক্লাব আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘জাতীয় ৬ষ্ঠ গণিত অলিম্পিয়াড’-এর একটি আনন্দঘন মুহূর্তে এর সফল রূপায়ণের নেপথ্য কারিগর ক্লাবের সদস্যবৃন্দ
মায়ানামারের অবস্থা প্রতিদিনই কঠিন হচ্ছে। সেখানে যারা প্রতিবাদ করছে কেবল তাদের কারণেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে তা নয়।
লেখক মুশতাক আহমদ জেলে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনাটি দুঃখজনক।
শ্রেণীকক্ষে মূল্যায়ন একটি আর্ট, একটি বিশেষ ধরনের বিজ্ঞান। এতে একজন শিক্ষকের আগ্রহ থাকতে হবে।
ভাষা দিবস না থাকলে বাঙালির জীবনে ফেব্রুয়ারি মাসের আলাদা কোন গুরুত্ব থাকতো না।
পৃথিবীতে যেসব মানুষ শ্রেণীহীন সমাজ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করেছেন সন্ত রবিদাসজী তাদের মধ্যে অগ্রসর।
মানবদেহ যখন রক্তের সব গ্লুকোজ ভাঙতে ব্যর্থ হয় তখনই ডায়াবেটিস হয়।
মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার ভিতর দিয়ে মহান একুশের আন্দোলন আজ দেশ-কালের সীমা অতিক্রম করে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে একটি জ্বলন্ত প্রতিবাদ হিসেবে গোটা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের আদর্শ।
জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে সাবধান না হলে পরবর্তীতে দীর্ঘদিন নানা ঝামেলা পোহাতে হয়।
নারীর নানাবিধ নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা দেশে-বিদেশে অব্যাহত আলোচনার বিষয়।
আশাবাদ, আশ্বাস এবং স্বপ্নকে কখনও জবাবদিহি করতে হয় না। এ এক নির্মাণশৈলী জাত সুবিধা।
ভাষা আন্দোলনের শুরু ১৯৪৮ সালে। ঢাকায় তখন প্রধান দৈনিক পত্রিকা আজাদ এবং ইংরেজি মর্নিং নিউজ।
বাংলাদেশে বরাবরই সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং শীর্ষ আমলাদের মুখ থেকে একটি বহুল কথিত বাক্য হচ্ছে
কোভিড-১৯ একটি ছোঁয়াচে রোগ, যা বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশেই মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়েছে জাতিসংঘ ঘোষিত ১০ম বিশ্ব বেতার দিবস।
মাত্র ক’দিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উচ্চ আদালতে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় রায় লেখার আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে দু-একজন
এই ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখটি প্রতি বছর গভীরভাবে স্মরণ করি। দিবসটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে বাংলার
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি-এই গানটি আমাদের শিহরিত করে আর জাগরিত করে। আমাদের
প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী জাতি-ই তার নিজস্ব ভাষাকে দরদ দিয়ে লালন করে থাকে।
যে শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনে ব্যবহার করে কোন একটি নির্দিষ্ট পেশায় নিযুক্ত হতে পারে তাই কারিগরি শিক্ষা।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে মদত দেয়ার কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের
ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখালেখির অধিকাংশই বর্ণনামুখী অর্থাৎ ভাষা আন্দোলনের সূচনা থেকে একুশে ফেব্রুয়ারিতে এসে এর পরিসমাপ্তি।
সাঁওতাল ভাষার বর্ণমালা বির্তক যেন কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না। দীর্ঘ বছরের অর্জন এখন আমার দেশের সাঁওতালরা তিনটি বর্ণমালাকে হাজির করেছেন।
১৯ মে। ভাষার ইতিহাসে এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের দিন। ১৯৬১ সালের ১৯ মে ভারতের বরাক উপত্যকার (বরাক ভ্যালি) কাছাড় জেলার শিলচরের ১১ জন বাঙালি মায়ের ভাষা রক্ষার জন্য তথা
বাঙালিবিরোধী রাজনীতিতে আসীন মানুষদের ইউরোপের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির আদলে দেখতে একদম অভ্যস্ত নয়।
মেগাসিটি ঢাকার পাঁচতলা ফ্ল্যাটের কাচের জানালা গলিয়ে বাইরে তাকাতে হতবাক হয়ে যাই।
অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছেন।
শিক্ষা আইন-২০২০ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ছোটখাটো বানান সংশোধন ছাড়া আর কোন পরিবর্তন করা হয়নি।
বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে চীন। যা, দেশ দুটির সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করেছে।
ভাষা-শহীদ ও ভাষা-সৈনিকদের তত্ত্ব-তালাশ নেওয়ার, ভাষা আন্দোলনের
১৯৬৬ সালে ইংরেজ পণ্ডিত অলউইন রাডক নানা দলিলপত্র ঘেঁটে মত দেন ভেনিসিও নাবিক জুয়ান শ্যাবতো ১৪৭০ সালের দিকেই আমেরিকায়
রেলের শনৈ শনৈ উন্নতিতে আমি ভীষন খুশি। ট্রেনে ভ্রমণ পিয়াসী সবার একই রকম খুশি হওয়ার কথা। এ বৃদ্ধ বয়সে পরিবারসহ ট্রেনে
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার প্রতিটি অঞ্চলের মতো মুন্সীগঞ্জেও হয় আন্দোলন, হয় নানা ধরনের সভা সমাবেশ।
আগরতলা মামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জাগরণ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও জনপ্রিয়তা শীর্ষে পৌঁছে যায়। হোসেন শহীদ
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন এই ভূখণ্ড ৫০ বছর পরে এখন রাজনীতিহীন
২০১১ সালে দীর্ঘদিনের অন্তরীণ নেত্রী অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ওই সামরিক বাহিনীর মৌন সম্মতি
২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে আদা আমদানি করতে হয় ১ লাখ ২৮ হাজার ৬০৭ মেট্রিক টন। যদি প্রতি কেজি আমদানিতে ১০০ টাকা ব্যয়
মায়ানমার সেনাবাহিনীর সর্বশেষ অভ্যুত্থানের শুরুতেই টেলিভিশন ক্যামেরায় সামরিক কনভয়ের যে দৃশ্য ধরা পড়ে তাতে আরেকটি পার্শ্বদৃশ্য ছিল স্পষ্ট।
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা অনেকটাই এড়াতে পেরেছে।
বছরখানেক আগে পর্যন্ত অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল বিজেপি কি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের বিষয়ে সত্যিই সিরিয়াস?
শুক্রবার কাল প্রায় সারা রাতই ঘুম হয়নি। এমনিতেই আমার ঘুমের খুব একটা সমস্যা নেই কিন্তু রাত ২টা অবধি উচ্চশব্দে গান ও চিৎকারের কারণটাই মুখ্য।
বিগত ৩১ জানুয়ারি দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হলো।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর চেয়ে স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে পাঠানো অনেক সহজ হবে।
এক দ্রৌপদী এ সমাজের মেয়েদের মতো কোন সাধারণ মেয়ে ছিলেন না। দ্রুপদ রাজার যজ্ঞের অগ্নি থেকে তার জন্ম।
যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রাম থেকে কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা অনেক দূরের পথ।
দেশের আনাচে-কানাচে অনেক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, যেগুলো আবার বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
ফ্রান্সের একজন খ্যাতনামা জেনারেল ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ফ্রেঞ্চ ফিফথ রিপাবলিকের প্রতিষ্ঠাতা চার্লস দ্য গলের অবিস্মরণীয় একটি উক্তি স্মরণ করতে চাই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় ছিলেন
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার প্রতিটি অঞ্চলের মতো মুন্সীগঞ্জেও হয় আন্দোলন, হয় নানা ধরনের সভা সমাবেশ।
আগরতলা মামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জাগরণ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও জনপ্রিয়তা শীর্ষে পৌঁছে যায়। হোসেন শহীদ
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন এই ভূখণ্ড ৫০ বছর পরে এখন রাজনীতিহীন
২০১১ সালে দীর্ঘদিনের অন্তরীণ নেত্রী অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ওই সামরিক বাহিনীর মৌন সম্মতি
২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে আদা আমদানি করতে হয় ১ লাখ ২৮ হাজার ৬০৭ মেট্রিক টন। যদি প্রতি কেজি আমদানিতে ১০০ টাকা ব্যয়
মায়ানমার সেনাবাহিনীর সর্বশেষ অভ্যুত্থানের শুরুতেই টেলিভিশন ক্যামেরায় সামরিক কনভয়ের যে দৃশ্য ধরা পড়ে তাতে আরেকটি পার্শ্বদৃশ্য ছিল স্পষ্ট।
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা অনেকটাই এড়াতে পেরেছে।
বছরখানেক আগে পর্যন্ত অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল বিজেপি কি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের বিষয়ে সত্যিই সিরিয়াস?
শুক্রবার কাল প্রায় সারা রাতই ঘুম হয়নি। এমনিতেই আমার ঘুমের খুব একটা সমস্যা নেই কিন্তু রাত ২টা অবধি উচ্চশব্দে গান ও চিৎকারের কারণটাই মুখ্য।
বিগত ৩১ জানুয়ারি দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হলো।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর চেয়ে স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে পাঠানো অনেক সহজ হবে।
এক দ্রৌপদী এ সমাজের মেয়েদের মতো কোন সাধারণ মেয়ে ছিলেন না। দ্রুপদ রাজার যজ্ঞের অগ্নি থেকে তার জন্ম।
যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রাম থেকে কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা অনেক দূরের পথ।
১০ মাস শিক্ষা ব্যবস্থা থেমে থাকার পর পরীক্ষামূলক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তার স্থগিতকৃত ও মাঝপথে থেমে যাওয়া চতুর্থ বর্ষ সম্মান শ্রেণীর অসমাপ্ত পরীক্ষাসমূহ সমাপ্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী দেশের সব নাগরিককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
না, এমন খবর পড়তে চাই না কোন সংবাদপত্রের পাতায়। দেখতেও চাই না কোন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হতে, শুনতেও চাই না কোন উৎস থেকে।
‘সত্যি করে বল তো, এখন কি জীবন আগের চেয়ে ভালো হয়েছে?’ তিউনিসিয়ার ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার কাছ থেকেই আমাকে প্রায়ই শুনতে হয় এ প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার তথ্য সুরক্ষা দিবস। সাইবার অপরাধের কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি।
চার ছয় দফাকেন্দ্রিক নির্যাতন চলতেই থাকে : বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করে বস্তুত
সামাজিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানো এবং প্রয়োজনে তাদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার পরিকল্পনা নিয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠন করা হয়েছে।
মহাবিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক শক্তি ও সম্পদের আধার হচ্ছে সমুদ্র। একদিকে যেমন পৃথিবীতে মানুষের বংশ-বিস্তার ক্রমশ বাড়ছে অন্যদিকে সমুদ্রের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতাও বাড়ছে।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে মর্মস্পর্শী খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরটির শিরোনাম ছিল ‘যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবক সুবল ভাই জীবনসায়াহ্নে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান’।
স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা করা সম্ভব হয়নি। সংশোধন করা হয়েছে ছয়বার।