সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
তোফায়েল আহমেদ
এই ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখটি প্রতি বছর গভীরভাবে স্মরণ করি। দিবসটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে বাংলার দুঃখী মানুষের বন্ধু, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতাকে জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে ’৬৯-এর গণআন্দোলন এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কালপর্বটি ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের ‘ড্রেস রিহার্সেল’। জাতির মুক্তিসনদ ৬ দফা দেওয়াকে অপরাধ গণ্য করে বঙ্গবন্ধু মুজিবসহ সর্বমোট ৩৫ জনকে ফাঁসি দেওয়ার লক্ষ্যে ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ তথা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি করা হয় এবং নির্বিঘ্নে পুনরায় ক্ষমতায় আরোহনের এক ঘৃণ্য মনোবাসনা চরিতার্থে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান।
আগরতলা মামলার বিচার যখন শুরু হয় তখন আমরা উপলব্ধি করি বঙ্গবন্ধুকে যদি ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হয় তাহলে চিরদিনের জন্য বাঙালি জাতির কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যাবে। কেননা এই একটি কণ্ঠে কোটি কণ্ঠ উচ্চারিত হয়। তাই আমরা ’৬৯-এর ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডাকসু’ কার্যালয়ে চার ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন এবং ৬ দফাকে হুবহু যুক্ত করে ঐক্যবদ্ধ ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করি। ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ’৬৯-এর ১৭ জানুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জমায়েত অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বটতলায় এবং পূর্বঘোষিত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়। ’৬৯-এর ১৭ জানুয়ারি যে আন্দোলন আমরা শুরু করেছিলাম, ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের রক্তাক্ত জামা হাতে নিয়ে যে শপথ নিয়েছিলাম, ২৪ জানুয়ারি মতিউর-মকবুল-রুস্তম-আলমগীরের রক্তের মধ্য দিয়ে সেই আন্দোলন সর্বব্যাপী গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করেছিল। ৯ ফেব্রুয়ারি পল্টন ময়দানে শপথ দিবসে স্লোগান দিয়েছিলাম ‘শপথ নিলাম শপথ নিলাম মুজিব তোমায় মুক্ত করবো; শপথ নিলাম শপথ নিলাম মা-গো তোমায় মুক্ত করবো।’
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হককে ১৫ ফেব্রুয়ারি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করে সান্ধ্যআইন জারী করা হলে সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল করি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহাকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি সেনারা বেয়োনেট চার্জে নির্মমভাবে হত্যা করে পুনরায় সান্ধ্য আইন জারি করলে যথারীতি আমরা সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখি। ২০ ফেব্রুয়ারি সমগ্র ঢাকা নগরীকে মশাল আর মিছিলের নগরীতে পরিণত করলে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে পল্টনের মহাসমুদ্রে প্রিয় নেতা শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রদান করি। সমগ্র দেশ গণবিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়।
জনরোষের ভয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান সকল রাজবন্দীকে বিনাশর্তে মুক্তি দিলে দেশজুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। প্রিয় নেতাকে কারামুক্ত করার মধ্য দিয়ে শপথ দিবসের স্লোগানের প্রথম অংশ ‘মুজিব তোমায় মুক্ত করবো’ এবং ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে হাতিয়ার তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে প্রিয় মাতৃভূমিকে হানাদার মুক্ত করে স্লোগানের দ্বিতীয় অংশ ‘মা-গো তোমায় মুক্ত করবো’ বাস্তবায়ন করেছিলাম। বস্তুত, ’৬৬-এর ৮ মে’র গভীর রাতে ৬ দফা কর্মসূচি প্রদানের অভিযোগে দেশরক্ষা আইনে যে মুজিব গ্রেফতার হয়েছিলেন- ৩৩ মাস পর ’৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি যে মুজিব মুক্তিলাভ করেন। নাম বিচারে এক হলেও, বাস্তবে ওই দুই মুজিবের মধ্যে ছিল গুণগত ফাঁরাক। আগরতলা মামলাটি ছিল সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য অগ্নিপরীক্ষার মতো। সেই অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বঙ্গবন্ধু বন্দীদশা থেকে মুক্তমানব হয়ে বেরিয়ে আসেন। ২২ ফেব্রুয়ারি আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেই যে, প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানাবো। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারেই রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।
শুরুতেই বলেছি ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। সেদিনের রেসকোর্স ময়দান যারা দেখেননি তাদের বলে বোঝানো যাবে না সেই জনসমুদ্রের কথা। আমরা যখন সেখানে পৌঁছেছি, তখন রেসকোর্স ময়দানে মানুষ আর মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন, বাস, ট্রাক, লঞ্চ-স্টিমার বোঝাই হয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ মানুষ ছুটে এসেছেন। ঢাকার মানুষ তো আছেই। অভিভূত হয়ে পড়লাম। এর পূর্বে এতবড় জনসভা দেখিনি। সেই জনসমুদ্রে লাখ লাখ লোক এসেছে প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে একনজর দেখতে। প্রিয় নেতাকে নিয়ে আমরা মঞ্চে উঠলাম। সেদিন সেই মঞ্চে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রেখেছিলেন। চিরাচরিত প্রথা ভঙ্গ করে আগেই সভাপতির ভাষণ দেওয়ার জন্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুরোধ জানিয়ে বলেছিলাম, ‘সবার শেষে বক্তৃতা করার কথা থাকলেও আপনাদের অনুমতি নিয়ে আমি আগেই বক্তৃতা করতে চাই।’ দশ লাখ লোকের সম্মতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আগেই বক্তৃতা করি। সেদিন যে ভালোবাসা মানুষের কাছ থেকে পেয়েছি তা বলে বোঝাতে পারবো না। বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুকে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করে বলেছিলাম, ‘প্রিয় নেতা তোমার কাছে আমরা ঋণী, বাঙালি জাতি চিরঋণী। এই ঋণ কোনদিনই শোধ করতে পারবো না। সারা জীবন এই ঋণের বোঝা আমাদের বয়ে চলতে হবে। আজ এই ঋণের বোঝাটাকে একটু হালকা করতে চাই জাতির পক্ষ থেকে তোমাকে একটা উপাধি দিয়ে।’ ১০ লাখ লোক ২০ লাখ হাত তুলে সম্মতি জানিয়েছিল। তখনই ঘোষিত হয়েছিল, ‘যে নেতা তার জীবনের যৌবন কাটিয়েছেন পাকিস্তানের কারাগারে, ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন সেই নেতাকে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞ চিত্তে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হলো।’ ১০ লাখ লোক তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে এ প্রস্তাব গ্রহণ করে প্রিয় নেতাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করে লাখ লাখ কণ্ঠে ধ্বনি তুলেছিলেন- ‘জয় বঙ্গবন্ধু।’
বাংলাদেশে অনেক আন্দোলন হয়েছে-ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ। একেকটি আন্দোলনের একেক রকম চারিত্র্য-বৈশিষ্ট্য ছিল। ’৬৯-এর গণআন্দোলনের বৈশিষ্ট্য এমন ছিল যে, তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিচারের কাজ চলছিল। বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে ’৬৮-এর ১৯ জুন বিচারের কাজ শুরু হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলাবার জন্য আইয়ুব খান পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। আইয়ুব খানের তথ্য সচিব আলতাফ গওহর ‘আইয়ুব খান’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। সেই বইয়ে উল্লেখ আছে কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ’৬৯-এর গণআন্দোলনের শহীদদের বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ সেই ষাড়যন্ত্রিক প্রচেষ্টাকে সমাধিস্থ করে এবং আসাদ-মতিউর-মকবুল-রুস্তম-আলমগীর-সার্জেন্ট জহুরুল হক-আনোয়ারা-ড. শামসুজ্জোহার জীবনের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির আন্দোলন সফল হয়।
জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে নারায়ণগঞ্জের এক জনসভায় দম্ভোক্তি করে আইয়ুব খান বলেছিলেন-তিনি আবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হবেন। অথচ ১৭ জানুয়ারি আন্দোলন শুরু হলো, ২০ জানুয়ারি আসাদ শহীদ হলেন, ২৪ জানুয়ারি শহীদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হলে সর্বব্যাপী গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং সেই আইয়ুব খান একদিন পরেই বলেছেন ‘আমি আর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো না।’
একটি আন্দোলন সাত দিনের মধ্যে গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তরিত হয়-ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে, ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে! এর তুলনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ, যাদের রক্ত ঋণে গোটা জাতি ঋণী, তাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে ভোলায় নিজ গ্রামে ‘স্বাধীনতা জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠা করেছি। সেই জাদুঘরে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে শহীদ সালাম-বরকত-রফিক-জব্বারের স্মৃতি, মহান ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণআন্দোলন, শহীদদের স্মৃতিচিহ্ন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনকের দুর্লভ সব আলোকচিত্র সেখানে স্থান পেয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। এই বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্ববরেণ্য মহান নেতা। তার কোন তুলনা হয় না। তিনি জন্মেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি যদি না জন্মাতেন আমরা আজও পাকিস্তানের দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ থাকতাম। সেই মহান নেতা তাঁর জীবদ্দশায় সবসময় এই দিনগুলোর কথা সংবাদপত্রে বাণী, বিবৃতি দিয়ে শহীদদের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করতেন। কেননা তিনি জানতেন ৬ দফা আন্দোলন না হলে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান হতো না; ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান না হলে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারতাম না; বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্ত না হলে ’৭০-এর নির্বাচনে পাকিস্তানে আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারতাম না; আর পাকিস্তানে যদি আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারতাম, তাহলে ৯ মাস যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছাত্রসমাজের যে ভূমিকা তা গৌরবোজ্জ্বল।
বছর ঘুরে এমন একটি মধুর দিন যখন ফিরে আসে হৃদয়ের মানসপটে কতো স্মৃতি ভেসে ওঠে। আমরা সংখ্যাসাম্যের বিরুদ্ধে সংখ্যাগুরুর অবস্থান থেকে ‘এক মাথা এক ভোটের’ দাবি তুলে তা আদায় করেছিলাম। ফলে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংখ্যাধিক্য আসন আমরা লাভ করেছিলাম। এদিনের প্রতিটি মুহূর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মনে পড়ে। সেদিন বক্তৃতায় আরো বলেছিলাম, ‘৬ দফা ও ১১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আমরা ফিরে পেয়েছি। তাদের সে রক্ত যেনো বৃথা না যায়, তার জন্য জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্রসহ সকল মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য এই আন্দোলন শুরু হয়েছে।’ বক্তৃতা শেষ করে ঘোষণা করেছিলাম- ‘এখন বক্তৃতা করবেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।’
তুমুল করতালির মধ্যে তিনি বক্তৃতা করতে দাঁড়ালেন। চারদিকে তাকিয়ে উত্তাল জনসমুদ্রের উদ্দেশে বললেন-‘রাতের অন্ধকারে সান্ধ্য আইনের কঠিন বেড়াজাল ছিন্ন করে যে মানুষ ‘মুজিবকে ফিরিয়ে আনতে হবে’ বলে আওয়াজ তুলে গুলির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে তাদের দাবির সাথে আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি না।’ সংগ্রামী ছাত্র সমাজকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি ছাত্রদের ১১ দফা শুধু সমর্থনই করি না, এর জন্য আন্দোলন করে আমি পুনরায় কারাবরণে রাজি আছি। ছাত্রদের ১১ দফার মধ্যে আমার ৬ দফা দাবিও নিহিত রয়েছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। আমি যদি এদেশের মুক্তি আনতে ও জনগণের দাবি আদায় করতে না পারি, তবে আন্দোলন করে আবার কারাগারে যাবো।’ সেদিন বঙ্গবন্ধু আরো বলেছিলেন, ‘আমি গোলটেবিল বৈঠকে যাবো, সেখানে আমার ৬ দফাও পেশ করবো, ১১ দফাও পেশ করবো।’ তিনি জীবদ্দশায় কোনদিন ১১ দফার কথা ভুলেননি। তার বক্তৃতায় সবসময় ’৬৯-এর গণআন্দোলনের কথা থাকতো। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে আছে, ’৬৯-এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পরে যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব ক্ষমতা নিলেন; তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গণতন্ত্র দেবেন, আমরা মেনে নিলাম।’ পরিশেষে স্বভাবসুলভ কণ্ঠে কৃতজ্ঞস্বরে বলেছিলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, তোমরা যারা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছো, যদি কোনদিন পারি নিজের রক্ত দিয়ে আমি সেই রক্তের ঋণ শোধ করে যাবো।’ তিনি একা রক্ত দেননি-’৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ তিনি শোধ করে গেছেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২৩ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দিন। যতদিন বেঁচে থাকবো হৃদয়ের গভীরে লালিত এ দিনটিকে স্মরণ করবো।
[লেখক : সংসদ সদস্য; সভাপতি,
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়
স্থায়ী কমিটি, জাতীয় সংসদ]
tofailahmed69@gmail.com
শ্রেণীকক্ষে মূল্যায়ন একটি আর্ট, একটি বিশেষ ধরনের বিজ্ঞান। এতে একজন শিক্ষকের আগ্রহ থাকতে হবে।
ভাষা দিবস না থাকলে বাঙালির জীবনে ফেব্রুয়ারি মাসের আলাদা কোন গুরুত্ব থাকতো না।
পৃথিবীতে যেসব মানুষ শ্রেণীহীন সমাজ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করেছেন সন্ত রবিদাসজী তাদের মধ্যে অগ্রসর।
মানবদেহ যখন রক্তের সব গ্লুকোজ ভাঙতে ব্যর্থ হয় তখনই ডায়াবেটিস হয়।
মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার ভিতর দিয়ে মহান একুশের আন্দোলন আজ দেশ-কালের সীমা অতিক্রম করে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে একটি জ্বলন্ত প্রতিবাদ হিসেবে গোটা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের আদর্শ।
জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে সাবধান না হলে পরবর্তীতে দীর্ঘদিন নানা ঝামেলা পোহাতে হয়।
নারীর নানাবিধ নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা দেশে-বিদেশে অব্যাহত আলোচনার বিষয়।
আশাবাদ, আশ্বাস এবং স্বপ্নকে কখনও জবাবদিহি করতে হয় না। এ এক নির্মাণশৈলী জাত সুবিধা।
ভাষা আন্দোলনের শুরু ১৯৪৮ সালে। ঢাকায় তখন প্রধান দৈনিক পত্রিকা আজাদ এবং ইংরেজি মর্নিং নিউজ।
বাংলাদেশে বরাবরই সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং শীর্ষ আমলাদের মুখ থেকে একটি বহুল কথিত বাক্য হচ্ছে
কোভিড-১৯ একটি ছোঁয়াচে রোগ, যা বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশেই মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়েছে জাতিসংঘ ঘোষিত ১০ম বিশ্ব বেতার দিবস।
মাত্র ক’দিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উচ্চ আদালতে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় রায় লেখার আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে দু-একজন
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি-এই গানটি আমাদের শিহরিত করে আর জাগরিত করে। আমাদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া
প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী জাতি-ই তার নিজস্ব ভাষাকে দরদ দিয়ে লালন করে থাকে।
যে শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনে ব্যবহার করে কোন একটি নির্দিষ্ট পেশায় নিযুক্ত হতে পারে তাই কারিগরি শিক্ষা।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে মদত দেয়ার কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের
ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখালেখির অধিকাংশই বর্ণনামুখী অর্থাৎ ভাষা আন্দোলনের সূচনা থেকে একুশে ফেব্রুয়ারিতে এসে এর পরিসমাপ্তি।
সাঁওতাল ভাষার বর্ণমালা বির্তক যেন কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না। দীর্ঘ বছরের অর্জন এখন আমার দেশের সাঁওতালরা তিনটি বর্ণমালাকে হাজির করেছেন।
১৯ মে। ভাষার ইতিহাসে এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের দিন। ১৯৬১ সালের ১৯ মে ভারতের বরাক উপত্যকার (বরাক ভ্যালি) কাছাড় জেলার শিলচরের ১১ জন বাঙালি মায়ের ভাষা রক্ষার জন্য তথা
বাঙালিবিরোধী রাজনীতিতে আসীন মানুষদের ইউরোপের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির আদলে দেখতে একদম অভ্যস্ত নয়।
মেগাসিটি ঢাকার পাঁচতলা ফ্ল্যাটের কাচের জানালা গলিয়ে বাইরে তাকাতে হতবাক হয়ে যাই।
অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছেন।
শিক্ষা আইন-২০২০ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ছোটখাটো বানান সংশোধন ছাড়া আর কোন পরিবর্তন করা হয়নি।
বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে চীন। যা, দেশ দুটির সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করেছে।
ভাষা-শহীদ ও ভাষা-সৈনিকদের তত্ত্ব-তালাশ নেওয়ার, ভাষা আন্দোলনের
১৯৬৬ সালে ইংরেজ পণ্ডিত অলউইন রাডক নানা দলিলপত্র ঘেঁটে মত দেন ভেনিসিও নাবিক জুয়ান শ্যাবতো ১৪৭০ সালের দিকেই আমেরিকায়
রেলের শনৈ শনৈ উন্নতিতে আমি ভীষন খুশি। ট্রেনে ভ্রমণ পিয়াসী সবার একই রকম খুশি হওয়ার কথা। এ বৃদ্ধ বয়সে পরিবারসহ ট্রেনে
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার প্রতিটি অঞ্চলের মতো মুন্সীগঞ্জেও হয় আন্দোলন, হয় নানা ধরনের সভা সমাবেশ।
আগরতলা মামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জাগরণ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও জনপ্রিয়তা শীর্ষে পৌঁছে যায়। হোসেন শহীদ
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন এই ভূখণ্ড ৫০ বছর পরে এখন রাজনীতিহীন
২০১১ সালে দীর্ঘদিনের অন্তরীণ নেত্রী অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ওই সামরিক বাহিনীর মৌন সম্মতি
২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে আদা আমদানি করতে হয় ১ লাখ ২৮ হাজার ৬০৭ মেট্রিক টন। যদি প্রতি কেজি আমদানিতে ১০০ টাকা ব্যয়
মায়ানমার সেনাবাহিনীর সর্বশেষ অভ্যুত্থানের শুরুতেই টেলিভিশন ক্যামেরায় সামরিক কনভয়ের যে দৃশ্য ধরা পড়ে তাতে আরেকটি পার্শ্বদৃশ্য ছিল স্পষ্ট।
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা অনেকটাই এড়াতে পেরেছে।
বছরখানেক আগে পর্যন্ত অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল বিজেপি কি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের বিষয়ে সত্যিই সিরিয়াস?
শুক্রবার কাল প্রায় সারা রাতই ঘুম হয়নি। এমনিতেই আমার ঘুমের খুব একটা সমস্যা নেই কিন্তু রাত ২টা অবধি উচ্চশব্দে গান ও চিৎকারের কারণটাই মুখ্য।
বিগত ৩১ জানুয়ারি দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হলো।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর চেয়ে স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে পাঠানো অনেক সহজ হবে।
এক দ্রৌপদী এ সমাজের মেয়েদের মতো কোন সাধারণ মেয়ে ছিলেন না। দ্রুপদ রাজার যজ্ঞের অগ্নি থেকে তার জন্ম।
যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রাম থেকে কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা অনেক দূরের পথ।
দেশের আনাচে-কানাচে অনেক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, যেগুলো আবার বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
ফ্রান্সের একজন খ্যাতনামা জেনারেল ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ফ্রেঞ্চ ফিফথ রিপাবলিকের প্রতিষ্ঠাতা চার্লস দ্য গলের অবিস্মরণীয় একটি উক্তি স্মরণ করতে চাই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় ছিলেন
গোটা বিশ্ব বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন আর পরিবেশ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।
বহুকাল থেকেই এ দেশে নানা ধরনের ডালের চাষ হয়ে আসছে। ডালে জাতভেদে বিদ্যমান আমিষ (২০-২৮ শতাংশ) এবং পর্যাপ্ত অ্যামিনো অ্যাসিডসহ নানাবিধ পুষ্টি উপাদানের কারণেই আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য সংস্কৃতিতে ডাল এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
করোনাভাইরাসের বিশ্বব্যাপী বিস্তার সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ এখন পর্যন্ত সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
মাউশি সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে পাঁচটি শর্ত দিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছিল।
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা অনেকটাই এড়াতে পেরেছে।
বছরখানেক আগে পর্যন্ত অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল বিজেপি কি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের বিষয়ে সত্যিই সিরিয়াস?
শুক্রবার কাল প্রায় সারা রাতই ঘুম হয়নি। এমনিতেই আমার ঘুমের খুব একটা সমস্যা নেই কিন্তু রাত ২টা অবধি উচ্চশব্দে গান ও চিৎকারের কারণটাই মুখ্য।
বিগত ৩১ জানুয়ারি দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হলো।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর চেয়ে স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে পাঠানো অনেক সহজ হবে।
এক দ্রৌপদী এ সমাজের মেয়েদের মতো কোন সাধারণ মেয়ে ছিলেন না। দ্রুপদ রাজার যজ্ঞের অগ্নি থেকে তার জন্ম।
যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রাম থেকে কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা অনেক দূরের পথ।
দেশের আনাচে-কানাচে অনেক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, যেগুলো আবার বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
ফ্রান্সের একজন খ্যাতনামা জেনারেল ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ফ্রেঞ্চ ফিফথ রিপাবলিকের প্রতিষ্ঠাতা চার্লস দ্য গলের অবিস্মরণীয় একটি উক্তি স্মরণ করতে চাই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় ছিলেন
বৃহস্পতিবার তথ্য সুরক্ষা দিবস। সাইবার অপরাধের কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি।
চার ছয় দফাকেন্দ্রিক নির্যাতন চলতেই থাকে : বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করে বস্তুত
সামাজিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানো এবং প্রয়োজনে তাদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করার পরিকল্পনা নিয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠন করা হয়েছে।
মহাবিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক শক্তি ও সম্পদের আধার হচ্ছে সমুদ্র। একদিকে যেমন পৃথিবীতে মানুষের বংশ-বিস্তার ক্রমশ বাড়ছে অন্যদিকে সমুদ্রের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতাও বাড়ছে।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে মর্মস্পর্শী খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরটির শিরোনাম ছিল ‘যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবক সুবল ভাই জীবনসায়াহ্নে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান’।
স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা করা সম্ভব হয়নি। সংশোধন করা হয়েছে ছয়বার।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও গত ৯ মাস ধরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
পুরো নাম ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’, একটি সংগঠনের জন্য নামটি যথেষ্ট
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে বাংলাদেশ চলতি অর্থবছর ২০২০-২১ সালের প্রথম মাস তথা জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১
দেশে লাখ লাখ রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা, আদালতে দীর্ঘসূত্রতা সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিচারিক কর্তৃপক্ষের অভাবে এসব মামলায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।